CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

ED attacked: সন্দেশখালি নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল?...
CV_Ananda_Bose
CV_Ananda_Bose

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্বোচিত আক্রমণ এবং তাণ্ডব রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে সভ্য সমাজের গণতান্ত্রিক সরকারকে।” শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V ananda Bose)। তিনি বলেন, “সরকার তার ন্যূনতম কর্তব্যপালনে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে। বাংলায় নয়।”

'মগের মুলুক নয়'

তিনি বলেন, “বাংলা কোনও মগের মুলুক নয়। সরকারের উচিত তার কর্তব্য করা। যাঁরা ভাবছেন, আমি ডনের মাধ্যমে শাসন করছি, আর তাঁরা শীঘ্রই নিজেদের ‘ডন কুইকজোট’ (স্প্যানিশ মহাকাব্য) হিসেবে দেখতে পাবেন। এটা প্রাক নির্বাচনী পর্বের হিংসা। অবিলম্বে এই হিংসায় লাগাম টানা প্রয়োজন। সমাজের এই হিংসা নিহিত সরকারের সঙ্গেই। চারদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।” রাজ্যপাল বলেন, “হিংসা ও গুন্ডাগিরিতে রাশ টানার সময় এসে গিয়েছে। বাংলায় হিংসার অবসান ঘটবে। অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান চলবে নিজের পথে।”

রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, অবিলম্বে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির মামলার শুনানি (C V ananda Bose) পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?”

আরও পড়ুুন: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছতে শুক্রবার সাত সকালে ইডির আধিকারিকরা যান সন্দেহখালিতে। এখানে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দোরে খিল এঁটে বসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই দরজা ভেঙে শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ানও জখম হন। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডামাডোলের (C V ananda Bose) বাজারে গা-ঢাকা দিতে পারেন শাহজাহান। সরিয়ে ফেলা হতে পারে তাঁর বাড়িতে থাকা (যদি থাকে) কাগজপত্রও।  

 

  দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles