Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা আবার কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

Scam

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে (Scam) জেরবার তৃণমূল। আদালতের নির্দেশে গ্রুপ সি-র যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে একাধিক তৃণমূলের নেতা কর্মী পরিবারের লোকজন বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম সামনে এসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্যা টুম্পা মেটে (বাকুলি) চাকরিও বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাঁর বাড়ি রিষড়ার বামুনারি এলাকায়। ২০১৮ সালে শ্রীরামপুর নেতাজি বয়েজ স্কুলে তিনি চাকরি পান। পাঁচ বছর সেখানে ক্লার্ক হিসাবে তিনি চাকরি করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ৮৪২ জন গ্রুপ সির চাকরি বাতিল হয়।সেই তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমি পরীক্ষা দিই।তারপর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে যোগ দিই। মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছি, এই চাকরিতে অনেক টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছে।আমি টাকা লেনদেনে যুক্ত নই। এটা সিবিআই, ইডি জিজ্ঞাসা করলেও বলব। চাকরির জন্য কাউকে এক টাকা ঘুষ (Scam)   দিইনি। এমনকি মিষ্টির প্যাকেট পর্যন্ত কাউকে দিতে হয়নি। তাহলে কী করে আমার চাকরি গেল তা আমি বুঝতে পারছি না। বিরোধীরা এটা নিয়ে হয়ত আমাকে, আমার দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইবে। আমি এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব। কারণ, এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।

স্ত্রীর চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে কী বললেন টুম্পা মেটের স্বামী? Scam

টুম্পার স্বামীর নাম মৃত্যুঞ্জয় মেটে। তিনিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। বর্তমানে রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। স্ত্রীর চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন,চাকরির প্রয়োজন আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সকলের আছে।কিন্তু স্ত্রীর চাকরির জন্য কাউকে কোনও টাকা দিইনি।এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আমার স্ত্রী। ও এম আর শিটে কিছু হয়ে থাকলে সেটা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ বলতে পারবে।আমাদের জানা নেই।আমরা দুজনেই তৃণমূল করি। তাই, স্ত্রীর এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায়  সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। পাঁচ বছর ওই স্কুলে চাকরি করল, তারপর কি করে কি হল আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। টুম্পা পরাশোনায় খুব ভালো ছিল আমি নিজে ওকে পড়াতাম। এখন এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করবে।

বিজেপি  শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, যে ভাবে গোটা রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে তা তৃণমূল অস্বীকার করতে পারবে না।হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেটা যুক্তি সংগত এবং গুরুত্বপূর্ণ।টুম্পা মেটে যতই অস্বীকার করুন আদালত বিবেচনা করেই এই রায় দিয়েছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেল,তৃণমূল আর দুর্নীতি (Scam) সমার্থক।।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share