RG Kar: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

CBI: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে...
RG_Kar_(7)
RG_Kar_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে প্রায় চারবার সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অপূর্বসহ তদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। এছাড়া ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের দিন সন্দীপ ঘোষের ঘরে বারবার কেন গিয়েছিলেন চিকিৎসক অপূর্ব, সেই প্রশ্নে উত্তরও সিবিআই খুঁজছে।

সন্দীপের ঘরে বারবার কেন অপূর্ব? (RG Kar)

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ৯ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষের (RG Kar) ঘরে বারবার গিয়েছিলেন। কেন তাঁকে সেখানে বার বার যেতে হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতেই তাঁকে একাধিকবার তলব করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়না তদন্ত শুরুর আগে প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপের ঘরে বসেছিলেন অপূর্ব। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষ হতেই ফের তিনি যান ওই ঘরে। আধ ঘণ্টা পরে ফিরে এসে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেন। এর পরে ফের সন্দীপের ঘরে গিয়ে ফের ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিলেন অপূর্ব। কেন? কোনও চাপ কি ছিল ফরেন্সিক মেডিসিনের ওই চিকিৎসকের ওপর? কে চাপ দিয়েছিল? তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: কলকাতাকে ‘পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার’ উপহার মোদির, সহজ হবে জটিল গবেষণা

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar) শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলি দু'দিন ধরে মর্গেই রাখা ছিল। যদিও নিয়মানুযায়ী ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গেই পুলিশ নমুনাও নিয়ে যায় পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য। আরজি করের ক্ষেত্রে তা হয়নি। সূত্রের খবর, ৯ অগাস্ট রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল এবং রাত ১০টা নাগাদ পোর্টালে আপলোডও হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও পুলিশ নমুনা দু'দিন ফেলে রাখল কেন? আরও জানা যাচ্ছে, দু'দিন পরে মর্গ থেকে নমুনাগুলি পুলিশকে হস্তান্তর করেছেন অপূর্ব একাই। প্রত্যেক নমুনার ওপরে যে সিল করা হয়েছে, তাতে একমাত্র সই অপূর্বেরই, ময়নাতদন্তে থাকা বাকি দু'জনের সই নেই। ফলে, ওই নমুনার বিষয়ে তিন জনের উপস্থিতির বিষয়টি আর গ্রাহ্য হচ্ছে না।

তিন চিকিৎসকের আলাদা করে বয়ান

আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ময়নাতদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, আরজি কর থেকে ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট মিলেছিল, তা দিল্লি এবং কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফির ছবি খুব স্পষ্ট না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। রিপোর্টে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা কী, তা জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। এজন্য ৯ অগাস্ট ময়না তদন্তকারী তিন চিকিৎসককে বেশ কয়েক বার করে তলব করে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের দু'দিন পরে সংগৃহীত নমুনাগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার কয়েকটির রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেই রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিল্লি এমসে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এক চিকিৎসকের মোবাইলবন্দি ১৫টি ছবিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা। সমস্ত রিপোর্ট একত্রিত করে মৃতের শরীরের আঘাতগুলির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles