Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

Untitled_design_(5)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকাল থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি (Israel) বায়ুসেনার। এখনও পর্যন্ত জাবালিয়া অঞ্চলে ১৩ জন শিশু-সহ মৃত ৩০। খোঁজ মিলছে না বহু মানুষের। গাজা (Gaza) প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল উত্তর গাজাই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। এই এলাকার তাফায় স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না (Israel)

জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার (Gaza) বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইহুদি সেনা। গাজা প্রশাসনের উদ্ধারকারী বাহিনীর দাবি, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারগুলির কাছে সাহায্য বা উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। প্রচুর বাড়ি-ঘর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যেকদিন বেড়ে চলেছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবারও দুটি পৃথক হামলার ঘটনায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরপর রবিবার ভোর থেকেই ফের ইজরায়েলি বায়ুসেনা নতুন করে হামলার ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। খান ইউনিসে একটি আশ্রয় শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইহুদি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

হামাস গোপন ডেরা বানিয়ে রেখেছে

আবার ইজরায়েলি (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার টার্গেট করা হয়েছে জাবালিয়াকে। ওই এলাকায় হামাস জঙ্গিরা গোপন ডেরা বানিয়ে রেখে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সঠিক খবর মিলতেই গাজার (Gaza) জাবালিয়াতে আক্রমণ শুরু করে বায়ু সেনা। তবে উত্তর গাজায় কোনও রকম ভাবেই উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালাতে পারছে না। উদ্ধারকারী বাহিনীদের বক্তব্য, লাগাতার আক্রমণের ফলে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে এই হামলা শুধু উত্তর গাজাতেই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

আলোচনা চালানো সম্ভব নয়

উল্লেখ্য ইজরায়েল (Israel) এবং গাজার (Gaza) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল কাতারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামাতে কোনও রকম সদিচ্ছা দেখা যায়নি উভয় পক্ষের। ১০ দিন আগেই দু’পক্ষকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল কাতারের পক্ষ থেকে। কিন্তু আপাতত সেই দিকে কোনও সদর্থক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না। তবে কাতারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ যদি সংঘর্ষ থামাতে সদিচ্ছা প্রকাশ না করে, তাহলে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share