Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

Kuntal Ghosh: অ্যারেস্ট হওয়ার পরেও কুন্তলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা, উৎস কী?...
Kuntal-Ghosh-1-1200x720
Kuntal-Ghosh-1-1200x720

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (কলঙ্ক মুছতে পরে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) (Kuntal Ghosh)। গ্রেফতার হওয়ার পরেও হুগলির বলাগড়ের ওই ‘নেতা’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দুর্নীতির টাকা। অন্তত এমনই দাবি করলেন ইডির তদন্তকারীরা।

টাকার উৎস কী? (Recruitment Case)

সম্প্রতি জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তল। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, কুন্তল অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েকদিন পরেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকার উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে পারেননি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এদিন কুন্তলের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল।

কুন্তলের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা

প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কুন্তলের। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জনৈক তাপস মণ্ডলও। তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঘুরপথে তৃণমূলের তৎকালীন ওই যুবনেতার অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি টাকারও বেশি ঢোকে। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যপ্রমাণও তাপস তুলে দেন তদন্তকারীদের হাতে।

গত প্রায় ২২ মাস ধরে জেলেই রয়েছেন কুন্তল। জামিন মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জানান, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়েছেন। কুন্তলকেও জামিন দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “কুন্তল দীর্ঘদিন জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় জামিন পেলে (Recruitment Case) তাঁর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করাও তো সম্ভব নয়।”

আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, কুন্তলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারির পরেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেড় কোটি টাকারও বেশি। ইডির আইনজীবী বলেন, “মানিককে কেবল ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা বিচারাধীন থাকলে জামিন প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা রয়েছে (Recruitment Case)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles