মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে হয়ে গেল ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ওই জোটে যোগ দিয়েছিলেন জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল (TMC)। ছাব্বিশে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। বাম এবং বিজেপির পাশাপাশি এ রাজ্যে কংগ্রেসও তৃণমূলের ঘোষিত শত্রু।
দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল!
রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে দিল তৃণমূল। তাছাড়া, সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যে কংগ্রেস কোনও ক্যারিশ্মা দেখাতে না পারায় রাহুল গান্ধীর দলকে আর ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই কারণেই ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেননি ঘাসফুল শিবিরের ছোট কোনও নেতাও।
ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল
সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে ইন্ডি জোটের নেতাদের নিজের বাসভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে সংসদে মোদি সরকারকে চেপে ধরা হবে, সেই কৌশল স্থির করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই এবং ডিএমকে-সহ ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কেবল তৃণমূল।
সোমের পর আজ, বুধবারও ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এদিন দুপুর ১টায় নিজেদের সংসদীয় দলের আলাদা বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে সরব হবে ঘাসফুল শিবির। এ নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে এদিন (TMC) সংসদ ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত
কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “বিজেপি, আদানির বিরুদ্ধে বিরোধীদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেই ঐক্যের বিরোধিতা করতে হবে। ঐক্যের বিরোধিতার যে দাদন, সেটা তৃণমূল নিয়েছে। তাই বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।”
ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির রইলেও, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মমতা। হেমন্তর দল ইন্ডি জোটের শরিক। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের বৈঠকে হাজির না হয়ে হেমন্তের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বোঝাতে চাইছেন, তিনি ইন্ডি জোটেই আছেন। তবে তাঁকে বসানো হোক চালকের আসনে।
একটা আঞ্চলিক দলের হাতে কি ইন্ডি জোটের স্টিয়ারিং তুলে দেবে কংগ্রেস? উঠছে প্রশ্ন (TMC)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply