মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। রবিবারই ইম্ফলে গিয়ে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। এন বীরেন সিং তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur) মানুষের সেবা করতে পেরে আমি সম্মানিত। কেন্দ্রকে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা, উন্নয়ন, একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও কেন্দ্র যাতে একই পথে হাঁটে সেজন্য অনুরোধ করছি।’’ সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বীরেনকে সরে যেতে বলেন। শাহের সিদ্ধান্ত জানার পর পদত্যাগ করেন বীরেন।
রবিবারই দিল্লি যান বীরেন
রবিবার সকালেই নয়াদিল্লিতে অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন বীরেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি ও নাগা পিপল্স ফ্রন্ট (এনপিএফ)-এর ১৪ জন বিধায়ক। জানা গিয়েছে, এই বৈঠক হয় ১৫ মিনিটের। বৈঠকের পর ইম্ফলে ফিরেই বীরেন ইস্তফা দেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur)। এই আবহে ৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।
Leave a Reply