মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনয়া রাজি দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সমাজমাধ্যমে একথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গত তিন বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী ট্রাম্প। বুধবার তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। তারপরই ট্রাম্প জানান, প্রথমে তিনি কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। এরপর আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়ে ট্রাম্প ফোন করেন জেলেনস্কিকে।
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ
মস্কোর তরফে ট্রাম্প-পুতিন ফোন কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে কথা হয়। পুতিন ট্রাম্পকে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্পও পুতিনকে আমেরিকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিষয়ে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিনের চিন্তাভাবনা কী তা মানুষ সত্যিই জানত না। তবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনি এই যুদ্ধের শেষ দেখতে চান ৷ তাই এটি ভালো দিক এবং আমরা এই যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করতে চলেছি ।” ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার নির্যাস জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জানান, শান্তিরক্ষার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর অর্থবহ আলোচনা হয়েছে।
শান্তির পক্ষে সওয়াল
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন বছর কোনও আলাপ-আলোচনা করেননি। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অর্থ, অস্ত্র এবং রসদ জুগিয়েছিলেন ইউক্রেনকে। ট্রাম্প অবশ্য অতীতেও পুতিনের প্রশংসা করেছেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বুধবার ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজকে নির্দেশ দিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ইউক্রেন দুই তরফে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে, এমনটাই দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৷ তবে বৈঠক কবে এবং কোথায় হবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি৷ ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি চান এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান এবং আমিও শান্তি চাই। আমি চাই, মানুষ হত্যা বন্ধ হোক।”
Leave a Reply