মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জেলেনস্কি উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধেটিকে থাকার সম্ভাবনা কম। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার কী করবেন তিনি? ইউরোপ কি তাঁকে বাঁচাতে পারবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। কোনও কোনও মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। চাপে পড়ে অবশ্য জেলেনস্কির (Ukraine) সুর নরম। এখন বিপদ বুঝে মুখে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে জেলেনস্কির বার্তা, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব শীঘ্রই দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপের বন্ধুরা সেই পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা রাখি।’’ জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা। যা দেওয়া বাকি ছিল, এখন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি
দিন কয়েক আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন (Donald Trump) সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যায়। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। পরে দু’দেশের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতির সময়ে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভান্সের তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে কিছু ক্ষণ, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। এর জেরেই ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। এরপরেই শোনা যায়, হোয়াইট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। এই আবহে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানো আপাতত বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিক কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে
হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। আমরা চাই আমাদের বন্ধুরাও সেই একই লক্ষ্যে স্থির থাকুক। আমরা তাই আপাতত সাহায্য (ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য) বন্ধ রেখে তা পর্যালোচনা করছি, যাতে এর মাধ্যমে কোনও সমাধানের পথ বেরোয়।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আপাতত বন্ধ রেখে শান্তিচুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা। আসলে ট্রাম্প চাইছেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হোন জেলেনস্কি।
Leave a Reply