মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক দিনে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে অনেক কম। নির্বাচনে কোনও রকম নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয় ছিল না বলে বিরোধীরা বিস্ফোরক হয়েছে। শনিবার মালদায় (Malda) আরও এক প্রাণ গেল। সন্ত্রাস, হানাহানি এবং হিংসায় উত্তাল জেলা।
কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (Malda)?
শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। ছাপ্পা ভোট আটকাতে গেলে তাঁকে খুন করা হয়। মৃতের নাম মতিউর রহমান (৪৫), ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনি বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর (Malda) বড় কামাতের বাসিন্দা ছিলেন। ট্রাক চালাতেন। শনিবার কেবিএস প্রাথমিক স্কুল ১৫৬ বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সে সময় সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য
হাজিকুর রহমান ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এবং মতিউর দুজনেই বুথে (Malda) ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমরা এখানে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দুজন করে মহিলার পর একজন করে পুরুষ, পর পর গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখি কংগ্রেসের এক স্কুল শিক্ষক ব্যালটে ছাপ্পা শুরু করে! প্রতিবাদে আমি এবং মতিউর সোচ্চার হই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এই শিক্ষক কর্মী হয়তো বুঝতে পারছিল যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কংগ্রেস হারবে। তাই তৃণমূলকে হারাতে এই ছাপ্পা শুরু করে। আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পিছন থেকে মতিউরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাঁচাতে গেলে হাজিকুর রহমানের হাতেও চাকুর আঘাত লাগে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মতিউরের মৃত্যু হয়।
পরিবারের বক্তব্য
মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাত্র কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আর ভোট দিতে এসেই খুন হলেন! আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমদের প্রার্থী ছিলেন রফিকুল, তাঁকে মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আমার স্বামী তৃণমূল করতাম। যারা হত্যা করেছে তারা কংগ্রেস কর্মী। বুথে ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার স্বামীকে ধারলো চাকু দিয়ে পিছন থেকে আঘাত করে খুন করে ওরা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই বলে দাবি করেন মৃত মতিউরের স্ত্রী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours