Amit Shah: “কংগ্রেস অম্বেডকর-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী, সংবিধান-বিরোধী”, সংসদে তোপ শাহের

Amit_Shah

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস বিআর অম্বেডকর-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী, সংবিধান-বিরোধী।” বুধবার ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, বিরোধী দল রাজ্যসভায় তাঁর বক্তৃতাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।

কংগ্রেসকে তোপ শাহের (Amit Shah)

সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গও টানেন। তিনি বলেন, “সংসদে সংবিধানের ১৫০ বছরের আলোচনা প্রমাণ করে কীভাবে কংগ্রেস বাবাসাহেব অম্বেডকরের বিরোধিতা করেছিল।” তিনি বলেন, “গতকাল থেকে কংগ্রেস বিকৃতভাবে তথ্য উপস্থাপন করছে। আমি এর নিন্দা করি।” এর পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিআর অম্বেডকর-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী এবং সংবিধান-বিরোধী। কংগ্রেস বীর সাভারকরকেও অপমান করেছে। জরুরি অবস্থা জারি করে তারা সমস্ত সংবিধানমূলক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে লোকসভা ও রাজ্যসভায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সময়, আমরা গত ৭৫ বছরে দেশের সাফল্য নিয়েও আলোচনা করেছি। এটা স্পষ্ট যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দল ও জনগণের ভিন্ন মতামত থাকবে। কিন্তু আলোচনা সর্বদা তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।”

অম্বেডকরকে ভারতরত্ন দেয়নি কংগ্রেস

শাহ (Amit Shah) বলেন, “কংগ্রেস সরকার অম্বেডকরকে ভারতরত্ন দেয়নি। বিজেপি সরকার তাঁকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সংসদে যখন এই আলোচনা চলছিল, তখন প্রমাণিত হয়েছিল কীভাবে কংগ্রেস বাবা সাহেব অম্বেডকরের বিরোধিতা করেছিল। কীভাবে কংগ্রেস বাবা সাহেবকে তাঁর মৃত্যুর পরেও উপহাস করার চেষ্টা করেছিল। কংগ্রেসের নেতারা বহুবার নিজেরাই নিজেদের ভারতরত্ন দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “১৯৫৫ সালে নেহরু নিজেকে ভারতরত্ন দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী নিজেকে ভারতরত্ন দিয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে বাবা সাহেব ভারতরত্ন পান, তখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল না। বিজেপি সমর্থিত সরকার ছিল।”

আরও পড়ুন: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

শাহ বলেন, “নেহরুর অম্বেডকরের প্রতি ঘৃণা সর্বজনবিদিত।” বুধবার কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Narendra Modi)। তিনি বলেছিলেন, “সংসদে অমিত শাহজি (Amit Shah) কংগ্রেসের সেই অন্ধকার ইতিহাস উন্মোচন করেছেন, যেখানে তারা ড. অম্বেডকরকে অপমান করেছে এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করেছে। তিনি যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা দেখে তারা স্পষ্টতই হতবাক এবং স্তম্ভিত। এজন্যই তারা এখন নাটক শুরু করেছে!”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share