মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অসমে (Assam) এসটিএফের জালে ১ সন্দেহভাজন। এই ধৃত ব্যক্তি আনসারুল্লা (Ansarullah) বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি তদন্তকারী অফিসারদের। তাকে আগেই মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে ঘোষণা করেছিল পুলিশ। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার শাদ রাডি ওরফে সাব শেখকেও অসমে পাঠানো হয়েছে জেহাদি সংগঠনের কাজের বিস্তারের জন্য। তার সঙ্গে ধৃতের যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্র ধরে অভিযান চালানো হয়েছিল। উল্লেখ্য আগে ২১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল অসম এসটিএফ।
অভিযুক্ত আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য (Assam)
অসম (Assam) এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুবিড়িতে একটি অভিযান চালিয়ে এই জেহাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম জাহের আলি। অভিযুক্ত আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য। আগে ধৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাহের আলি সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হয়েছিল। জাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আটক করা হয়। জেরায় তার বয়ানে অমিল পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এখন তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আরও জানার চেষ্টা করছে। দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে আনসারুল্লা জেহাদি সংগঠন সম্পর্কে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করছে অসম পুলিশ। আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের (Ansarullah) সঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে। ‘অপারেশন প্রঘাত’-এ অসম পুলিশের খাতায় নাম উঠে আসে জেএমবি জঙ্গি তারিকুল ইসলামের। এই ব্যক্তি শেখ সাদেক বা সাদেক সুমন নামেও পরিচিত। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত তারিকুলের সঙ্গে জেলে সাক্ষাৎ হয়েছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের দুই জঙ্গি আব্বাস আলি এবং মিনারুলের। তাই এই জঙ্গি সংগঠনের কাজকে নির্মূল করতে অসম সরকার অত্যন্ত তৎপর হয়ে জায়গায় জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।
প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত
অসম (Assam) এসটিএফ প্রধান পার্থসারথি মহন্ত বলেন, ‘অপারেশন প্রঘাত’ নামে অভিযানের কথা ঘোষণা করেছে আমাদের বিশেষ টিম। এই অভিযানে ধরা পড়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতী শাদও (Ansarullah)। একই ভাবে তাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবার গত ৩০ ডিসেম্বর কোকরাঝাড় পুলিশ সহযোগিতা করায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের মুখ্য অভিযুক্ত গাজি রহমানকেও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply