Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

Bankrupt Bangladesh faces big crisis opportunity for india

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় রকেটের গতিতে উত্থান হচ্ছিল বাংলাদেশের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় (India) বসেন মহম্মদ ইউনূস। তার পর থেকেই পতন হতে থাকে বাংলাদেশের (Bankrupt Bangladesh) উন্নয়নের পারা। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশেরও অবস্থা হবে পাকিস্তানের মতো। ভিক্ষাপাত্র হাতে বিশ্বের দোরে দোরে ঘুরলেও, সাহায্য মিলবে না। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে উদ্যোগের প্রয়োজন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনূসকে তা নিতে দেখা যায়নি। বরং গদি আঁকড়ে বসে থাকতে যা যা করণীয়, কৌশলে তিনি তা অহরহ করে চলেছেন বলে অভিযোগ।

অবনতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ (Bankrupt Bangladesh) 

হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার কারণে এমনিতেই সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এখন আবার দেখা দিয়েছে নয়া সঙ্কট। বন্ধ হওয়ার মুখে বাংলাদেশের চিংড়ি ব্যবসা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণের সিংহভাগ কারখানা। রফতানির পরিমাণ হ্রাস ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের মুখে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।

কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ

কথায় বলে, কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বাংলাদেশের কাছে যেটা সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই ভারতের কাছে হয়েছে পৌষ মাস। কারণ যে যে শিল্পগুলি বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেই সেই ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে ভারতের কাছে খুলে যাচ্ছে সুযোগের আবারিত দ্বার (Bankrupt Bangladesh)।

ডেইলি স্টারের রিপোর্ট

বাংলাদেশের পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, একসময় লাখ লাখ মার্কিন ডলার আয় করা চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এখন তীব্র মন্দার মুখে পড়েছে। রফতানি অর্ধেকে নেমে (India) আসার কারণে অধিকাংশ চিংড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্পে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হত। এটি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ডও ছিল। তবে, কাঁচামালের ঘাটতি, রফতানির পতন, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং সরকারের উত্থান-পতনের কারণে এই শিল্প এখন ডুবে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (BFFEA)-এর মতে, আগে দেশে ১০৯টি চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ছিল (Bankrupt Bangladesh)। তবে বর্তমানে চালু রয়েছে খুলনায় মাত্র ৩০টি এবং চট্টগ্রামে ১৮টি কারখানা। বাকি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এসব কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪,০০,০০০ টন হলেও তারা প্রয়োজনীয় চিংড়ি উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ পাচ্ছে। এই ঘাটতির কারণে অনেক কারখানা ইতিমধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজনীয় চিংড়ির মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ সংগ্রহ করতে পারছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি কারখানা উৎপাদন চলাকালীনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

আদতে লাভ হয়েছে ভারতের

রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে বাংলাদেশের উন্নয়নের পারদ পতন হওয়ায় আদতে লাভ হয়েছে ভারতের। ভারত চিংড়ির একটি বৃহৎ রফতানিকারক দেশ। ভারতে উৎপাদিত চিংড়ি চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ১ লাখ ৭৮১ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি করেছে। এই পরিমাণ চিংড়ির মোট মূল্য ৬০,৫২৩.৮৯ কোটি টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করেছে ২৯৭,৫৭১ মেট্রিক টন ফ্রোজেন চিংড়ি। বাংলাদেশি চিংড়ি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়। বাংলাদেশ এই চিংড়ি বেশিরভাগ রফতানি করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি চিংড়ি রফতানি হয় ইইউ দেশগুলিতে। বাংলাদেশে এই শিল্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় এখন ভারত এই দেশগুলিতে রফতানি করতে পারবে। ফলে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে (Bankrupt Bangladesh)।

ভ্যানামেই চিংড়ি চাষ

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চাষ হচ্ছে ভ্যানামেই চিংড়ি। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে চাষ শুরু হয় এই প্রজাতির চিংড়ির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে চাষের এলাকার পরিমাণও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে বাজার। কম লবণাক্ত জলে এই প্রজাতির চিংড়ি চাষ করে পথ দেখিয়েছে হরিয়ানা। সেখানে দুই মৎস্য বিজ্ঞানীর পরামর্শে ভ্যানামেই চাষ করে প্রথমবারই উৎপাদন হয়েছিল ১০ হাজার টন। সেখান থেকেই এই প্রজাতির চিংড়ি চলে যাচ্ছিল গুজরাট এবং দিল্লির বিভিন্ন বাজারে।

আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যানামেইয়ের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এই প্রজাতির চিংড়ির স্বাদ বাগদার স্বাদের কাছাকাছি। তবে বাগদার মতো দেখনদারি এর নেই। এর নিজস্ব জৈব (India) গন্ধও তত চড়া নয়। তাই বিশ্বের বাজারে ক্রমেই বাড়ছে এই প্রজাতির চিংড়ির চাহিদা। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প মার খাওয়ায় এবার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের দুয়ারে (Bankrupt Bangladesh)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share