মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে আলিপুরদুয়ারে প্রস্তুতি সভায় তৃণমূলের একাধিক জেলা নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির কেন? এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এমনই প্রশ্ন তোলায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বও।
ঠিক কী অভিযোগ?
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারে সরকারি অনুষ্ঠানে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রবীন্দ্র মঞ্চে তারই প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌরভ দলের নেতাদের ও জনপ্রতিনিধিদের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদি ও দলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ৯০ শতাংশ নেতা জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও সভায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি হয় না। প্রস্তুতি বৈঠকে যে নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যেও সামনের সারিতে বসা নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে শুরুতেই একটা বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের দুই জেলা নেতাকে তৎপর হতে দেখা যায়। যদিও এ নিয়ে জেলার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
প্রস্তুতি বৈঠকে কোন কোন তৃণমূল নেতা যাননি?
প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে, টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিরা। তৃণমূলের ওই প্রস্তুতি সভা থেকেই সৌরভ বলেন, দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতটা সক্রিয়, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে সেই সক্রিয়তার অভাব দেখা গিয়েছিল। তাই আমরা গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জিততে পারিনি। দলের কেউ কেউ যদি ভাবেন পঞ্চায়েত ভোটে দিতে গিয়ে নিজের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার করবেন, তারপর নিষ্ক্রিয় থাকবেন, সেটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। দল সকলের উপর নজর রাখছে।
জেলা তৃণমূলের সভাপতির কী বত্তব্য?
তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করা হবে। যদিও সবাইস্থল এখনও ঠিক হয়নি। বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, গত পাঁচ বছরে বিজেপির সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজে পাননি। তাই সামনের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এখানে জয়ী হবেন।' লোকসভা ভোটের মুখেও আলিপুরদুয়ারে শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours