মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যের কোমরে বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তুলে নিয়ে যাওয়াই নয়, সেই সঙ্গে মারধরের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল (Ghatal) ব্লকের মনসুকা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের খড়কপুর গ্রামে। যদিও বিজেপির অভিযোগকে পাল্টা তৃণমূল অস্বীকার করেছে।
তৃণমূলে যোগদান করার হুমকি (Ghatal)!
খড়কপুর গ্রামের (Ghatal) পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মণ্ডল বলেছেন, “আমি আমার বাড়ির পাশের জমিতে কাজে গিয়েছিলাম। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমার কোমরে একটা বন্দুক ঠেকিয়ে খাসবাড়ের তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে যায়। এরপর পার্টি অফিসেরর মধ্যে আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে চলে লাথি, চড়, কিল, ঘুষি। অত্যাচারের পর একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর কাগজে লেখা হয় চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছি। আমাকে অন্যায় ভাবে যারা মেরেছে সেখানে তৃণমূলের ৬ জন স্থানীয় নেতা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। তাদের মধ্যে গঙ্গা কারকও ছিল। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবো। ওদের কড়া শাস্তির দাবি করি। তৃণমূলে যোগদান করার জন্যও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।” এই ঘটনার পর সেখান থেকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওই ঘাটালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মাত্র সাত বছর বয়সেই এশিয়ার সেরা ‘ক্যারাটে কিড’ হুগলির আরাত্রিকা
তৃণমূলের বক্তব্য
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘাটাল (Ghatal) তৃণমূল নেতা বিকাশ কর বলেছেন, “এই অভিযোগের কোনও বাস্তাব ভিত্তি নেই। বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে। আমাদের পঞ্চায়েত বোর্ড ভালোভাবে কাজ করছে। একজন পঞ্চায়েত সদস্যকে জোর করে দলে নেওয়ার জন্য আমাদের অতো মাথা ব্যাথা নেই। কোনও রকম মারধর এবং অত্যচারের ঘটনাকে আমাদের দল আনুমোদন করে না। পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলব।”
মনসুকা-১ গ্রাম (Ghatal) পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫। এখানে বিজেপি পেয়েছে ৪টি। বাকি ১১টি আসন দখল করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল যোগদান করেছেন। ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টি এবং বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩টি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours