Dilip Ghosh: “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

“ডুবে মরো, ডুবে মরার জলও নেই পশ্চিমবঙ্গে”, মমতাকে তোপ দিলীপের...
Dilip_Ghosh
Dilip_Ghosh

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি ভোটের প্রচারে বলেন, “অপকর্ম করলে ফল পাবেন। এখানেও পাবেন, ভগবানের কাছেও পাবেন। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উচিত তাঁর নেতাদের বলা যে সুদ সমেত টাকা ফেরত দিয়ে দাও। নাহলে যাঁদের চাকরি গেছে তাঁদের টাকাও যাবে। তবে এখন টাকা দিতে গেলে বাপের জমি বেচতে হবে। যাঁরা গরিব ছেলে-মেয়ের টাকা নিয়েছে, প্রত্যেকের সাজা না হওয়া পর্যন্ত এই তদন্ত এবং এই রায় ফলপ্রসূ হবে না।” মঙ্গলবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আশিষ মার্কেটে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়েছিলে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

ওই কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মাইক হাতে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে (CM) আক্রমণ করে বলেন, “ইডি (ED), সিবিআই (CBI) নেতাদের বাড়ি থেকে টাকা বের করে নিয়ে যাচ্ছে। তাতে তাঁর খুব কষ্ট। মানুষ আপনাকে মানে না, মানবে না। তাই রাস্তায় চোর চোর স্লোগান শুনতে হয়। তাঁর পার্টির ছিঁচকে চোররা শুনত চোর চোর। এখন মুখ্যমন্ত্রীকেও চোর শুনতে হচ্ছে। তাঁদের জলে ডুবে মরা উচিত। ৫০ বছর রাজনীতি করার পরে শেষ জীবনে চোর চোর শুনে যেতে হবে। এ জীবনের কোনও মূল্য নেই। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) অশ্বত্থ গাছে নিচে দাঁড়িয়ে বলছে, ডুবে মরো, ডুবে মরার জলও নেই পশ্চিমবঙ্গে। খাওয়ার জল পাওয়া যাচ্ছে না ডুববে কোথায়।"

২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল

প্রসঙ্গত সোমবার কলকাতা উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে একসঙ্গে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। এ যেন ঢাকি সমেত বিসর্জন! সাম্প্রতিক কালে এত সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে চাকরি যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এরই মাঝে চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)? সহ একাধিক বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুনঃ ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

মমতার অভিযোগ বিচারব্যবস্থার দিকে

আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ভোটের প্রচার কর্মসূচি থেকে যে বক্তব্য রাখেন তাতে তাঁর অভিযোগ ছিল বিচারব্যবস্থার দিকেই। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের দলের নেতারা গ্রেফতার হলেও তাঁরা এই দায় নিতে নারাজ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যদি সমস্ত ওএমআর শিট আদালত বা তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দিত কমিশন, তাহলে যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ের কাজ আরও ভালোভাবে করা যেত। এখানেই প্রশ্ন তাহলে কি এসএসসি তদন্তকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে? এদিন নির্বাচনী প্রচারে চোর চোর বলে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles