Ration Scam: চিঠিতে হাতের লেখা কার? রহস্য উন্মোচনে বালুর হস্তাক্ষরের নমুনা চায় ইডি

Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতিতে নয়া মোড়! ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের পর এ বার বালুর হস্তাক্ষরের ফরেন্সিকের দাবি ইডির
WhatsApp_Image_2024-06-13_at_1249.37_PM
WhatsApp_Image_2024-06-13_at_1249.37_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে রেশন দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পর এবার রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (যিনি রাজনৈতিক মহলে বালু নামে সমধিক পরিচিত) হাতে লেখা চিঠির ফরেন্সিক তদন্ত করাতে চলেছে ইডি। জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। 

কী জানিয়েছে ইডি? 

রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারির পর পরই অসুস্থতার কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। হাসপাতালে যখন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সময়েই একটি চিঠিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই চিঠিতে হাতের লেখা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরই (Jyotipriya Mallick) কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতেই তাঁর হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

কী ছিল সেই চিঠিতে? (Ration Scam)  

এ প্রসঙ্গে ইডি অভিযোগ করেছিল, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শাহজাহান, শঙ্কর আঢ্যের নাম লেখা একটি চিঠি তাঁর মেয়েকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বালু (Jyotipriya Mallick)। তবে সেই চিঠি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক কর্মীর হাতে চলে যায়। ওই চিঠিটি খুলতেই বেশকিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তাতে টাকা দেওয়া-নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ ছিল বলে ‘খবর’। সেই চিঠির ভিত্তিতেই শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি। চিঠির সূত্র ধরেই শঙ্করের বাড়িতে ১৬ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। গ্রেপ্তার করা হয় শঙ্করকে। প্রশ্ন ওঠে, হেফাজতে থাকাকালীন কী করে লেখার জন্য পেন, কাগজ পেলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী।  

আরও পড়ুন: আরও একটা হামলা! জঙ্গি সংঘর্ষে ডোডা জেলায় আহত এক জওয়ান

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে চিঠি উদ্ধারের পরে বালুর (Jyotipriya Mallick) বয়ান নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর মেয়েকে চিঠি লেখার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তবে পরে তিনি তা অস্বীকার করেন। ফলে চিঠি বালুরই লেখা কি না তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো ছাড়া উপায় নেই বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। এইপরেই বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে লেখা সেই চিঠির ফরেন্সিক পরীক্ষা (Ration Scam) করাতে ইডির তদন্তকারীরা বালুর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles