SIR: চায়ের দোকানে দেওয়া হচ্ছে এনুমারেশন ফর্ম! জেলা শাসকদেরকে কড়া বার্তা কমিশনের

election-commission-sir-news-enumeration-forms-being-given-at-tea-shops-commission-sends-strong-message-to-district-magistrates

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR) কাজ শুরু হতেই তা নিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কাজ এবং কাজের পদ্ধতি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এবং তরজা চলছে জোর কদমে। যদিও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলও-রা কিন্তু তাতেও প্রশ্ন থেমে নেই। কোথাও শোনা যাচ্ছে বাড়িতে নয়, কার্যত রাস্তায় ফর্ম বিলি করছেন বিএলও-রা। আবার কোথাও পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বসে ফর্ম বিলি করার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও শোনা যাচ্ছে বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি নয় ক্লাসরুমে বসেই কাজ করছেন। স্কুলের মধ্যেই দেওয়া হয়েছে এনুমারেশন ফর্ম। তবে এই সব বিষয় নিয়ে কমিশন ব্যাপক ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। নির্দেশকে কিছু কিছু বিএলও-রা পালন করছেন না বলে সাফ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে (SIR)

জাতীয় নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়েই এনুমারেশন ফর্ম দিতে হবে বুথ লেভেল অফিসারদের। এই মর্মে জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে জেলা শাসকদের আরও বেশি করে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে যদি সর্তকতার সঙ্গে কাজ না করা হয়, তাহলে কমিশনের তরফ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যোধপুর পার্ক, মালদা, সাঁকরাইলে বেনিয়ম!

সম্প্রতি যোধপুর পার্কে আকাশ দাস নামে এক বিএলও-কে দেখা গিয়েছে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে বসে এনুমারেশনের ফর্ম (SIR) দিচ্ছেন। দুর্গাপুরেও দেখা গিয়েছে কার্যত এই রকমের দৃশ্য। সেখানেও বাসস্ট্যান্ডে বসে ফর্ম বিলি করতে দেখা গিয়েছে এক বিএলও-কে। মালদার চাঁচলে আবার খোদ পঞ্চায়েত অফিসের বাড়িতে বসে ফর্ম দিতে দেখা গিয়েছে। এই সব ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজ্য রাজনীতির পারদ ক্রমেই চড়তে শুরু করেছে। যদিও অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিতর্কিত বিএলও-রা উত্তরে জানান, ফর্ম গোছানোর কাজ করছিলেন। একই ভাবে আবার সাঁকরাইলের স্কুলে ফর্ম বিলির ছবি সামনে এসেছে। অধিকাংশ জায়গায় তৃণমূল নেতাদের নজরদারিতে ফর্ম দেওয়ার জন্য হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। কমিশন (Election Commission) যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসআইআর-এর কাজ করবে বলে ঠিক করেছে, সেই কাজে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা জেলা শাসক থেকে বিএলও পর্যন্ত কর্মচারীরা কতটা রাজনীতি মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share