Enforcement Directorate: তোলাবাজি থেকে মানব পাচার! কে এই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান?

Untitled_design_(76)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

কে এই শেখ শাহজাহান? (Sandeshkhali)

বামফ্রন্ট জমানার শেষের দিকে দাপুটে দুই নেতা মজিদ মাস্টার ও বাবু মাস্টারের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নামে শেখ শাহজাহান। তবে, কোনও পদে ছিল বলে জানা যায়নি। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে এলাকায় তাঁর নামে গুঞ্জন ছিল। সেই অনুপ্রবেশকারী বামফ্রন্ট জমানার শেষ দিকে অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের। বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের। মেছোভেরি থেকে ইটভাটা এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত ওই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তারই তত্ত্বাবধানে।

তৃণমূলের জমানায় এলাকার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হল। বাংলার মসনদে বসল নতুন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। বাম জমানার ভিত নড়বড়ে হতেই তৃণমূলে যোগদান শেখ শাহজাহানের। বসিরহাটের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ হাজী নুরুলের সঙ্গে বাড়ে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠতা। সূত্রের খবর, হাজী নুরুলের হাত ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পৌঁছে যান শাহজাহান। মন্ত্রীর আস্থাভাজন হতেই মেলে দলের সাংগঠনিক পদ। তৈরি করেন নিজস্ব বাহিনী। আগে জমির প্রতি বিঘায় তোলা আদায় করত শাহজাহান। তৃণমূলের পদ পেতেই- শুরু হল শাহজাহান বাহিনীর কাঠা প্রতি তোলা আদায়ের কারবার। নিজের বাহিনী তৈরি করে সরবেরিয়ায় তোলাবাজির বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন শাহজাহান। আর বালুর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়করা ও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পেতেন না। মাছের ভেড়ি থেকে শুরু করে ইট ভাটা, এমনকী বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এদেশে আসা জামাকাপড়ের কারবারও, এলাকায় সবই চলতে শুরু করল শাহজাহান শেখের নির্দেশে। এমনকী মানব পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের সীমান্তে আশ্রয় দেওয়ার পিছনে তাঁর হাত রয়েছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share