মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের মানুষ। এবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।
সিবিআইয়ের দাবি (Sandeshkhali)
সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রেশন দুর্নীতি মামলা এবং ইডির আধিকারিকদের উপর শাহজাহানের দুস্কৃতী বাহিনীর আক্রমণ প্রসঙ্গে সিবিআই দাবি করেছে, “অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবল ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সেখানে সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে বহু নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যত জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদের বয়ানের উপর নির্ভর করে আদালতে এমনটাই জানাতে চলেছে সিবিআই। আদালতের কাছে এই বক্তব্য পেশ হলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের এক একবার প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।
পুলিশের দ্বারা ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যের অভাব
গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট (Sandeshkhali) আদালতে আবেদন জানিয়ে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই জানায়, ধৃতদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়, কিন্তু তদন্তকারী অফিসারেরা জানান ঘটনায় হামলার সঙ্গে এইসব ব্যক্তিরা যুক্ত ছিলেন বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ
সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) পুলিশের দ্বারা ধৃতদের জেরা করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ধৃতেরা জানিয়েছেন, “তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাদের থানায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু থানায় পৌঁছলে, তাদের সেইসময় গ্রেফতার করা হয়।” তাদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে তদন্তকারী অফিসারেরা ধৃতদের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। গত শনিবার সুকোমল সর্দার এবং মেহবুব মোল্লার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এরপর আবার গতকাল রবিবার, রামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা কথা বলেন। ফলে সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যে আরও একবার প্রশ্ন উঠল বলে ওয়াকিবহাল মানুষ মনে করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours