মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারত–পাক সংঘর্ষের জেরে আপাতত স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল (IPL 2025)। কবে শুরু হবে তা সময়ে জানিয়ে দেবে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক সংসবাদংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দেশের যখন এই পরিস্থিতি। একটা যুদ্ধের আবহ রয়েছে। তখন ক্রিকেট খেলা ভাল লাগে না।
নিরাপত্তাই প্রাধান্য
গত বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর এর পর ইডেন ম্যাচে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার বোমাতঙ্ক ছড়ায় জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জেরে মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়। তাই আর ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিসিআই। জানিয়ে দেওয়া হল আপাতত স্থগিত আইপিএল। যার ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে ইডেনে। আইপিএলে (IPL 2025) দেশের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বহু বিদেশি ক্রিকেটার খেলেন। তাঁদের নিরাপত্তার দিকটি বোর্ডকে দেখতে হবে। ফলে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দলের সাপোর্ট স্টাফ ও অন্যান্যরা যাতে নিরাপত্তার অভাব না বোধ করেন, সেটা দেখাও বোর্ডের কাজ। সূত্রের খবর, বর্তমান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ত্রস্ত বিদেশি তারকারা। পাঞ্জাব কিংসের দুই ক্রিকেটার মার্কাস স্টয়নিস এবং জস ইংলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাও জানিয়েছেন। যুদ্ধের আবহে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারতীয় বোর্ড। কীভাবে ক্রিকেটারদের বাড়ি ফেরানো যায়, তারও ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।
ফের কবে আইপিএল
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাকিস্তানের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট আর না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের এক কর্তা। তিনি বলেন, ‘দেশ যখন যুদ্ধে লিপ্ত, সেই সময় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলতে থাকা ভালো দেখায় না।’ সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যেতে পারে আইপিএলের শেষ পর্ব। যদিও বিসিসিআই জানিয়েছে, টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বোর্ড। কবে, কীভাবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের আয়োজন হবে, বা আদৌ হবে কিনা, সেটা নিয়ে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করছে বোর্ড। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
Leave a Reply