ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

Isi four brothers alliance Bangladesh rohingyas bharat

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র শানাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা (মায়ানমারের মুসলমানরা এই নামেই পরিচিত)-দের নিয়ে তৈরি হয়েছে সংগঠন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামি মহাজ, আরাকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ANDF) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি জোট বেঁধে গঠন করেছে “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” (ISI)। বাংলাদেশের এই ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য নয়া নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

রোহিঙ্গা আর্মি (ISI)

বাংলাদেশের এই জোট “দ্য রোহিঙ্গা আর্মি” নামেও পরিচিত। কক্সবাজারে তারা তাদের নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করে। সংগঠন ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিল প্রচুর পরিমাণ শরণার্থী। পৃথকভাবে পরিচালিত এই সংগঠনগুলো আইএসআইয়ের সহায়তায় একাধিক কৌশলগত আলোচনার পর একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরেই গঠিত হয় এই অ্যালায়েন্স (ISI)। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে বেড়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ। বাংলাদেশে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার ক্ষমতায় থাকায়, আইএসআই সেখানে কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণেই আইএসআইয়ের বাড়বাড়ন্ত বাংলাদেশেও। জেহাদি উপাদানগুলি ইতিমধ্যেই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, আইএসআই মনে করেছিল যে, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই চারটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে একজোট করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ

আইএসআই (ISI) বুঝতে পেরেছিল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এই গোষ্ঠীটির সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই (Bharat) সেখানে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই পরিস্থিতি এই গোষ্ঠীর জন্য লাভজনক হতে পারে তখনই, যখন তারা ওই অঞ্চলে বড় ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করতে চাইবে। আইএসআই উপলব্ধি করেছিল যে, এই গোষ্ঠীগুলি পৃথকভাবে কাজ করছে। তাদের একজোট করে সম্মিলিতভাবে লড়াই চালানোর ব্যবস্থা করা হলে, তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে—এমনটাই মনে করেছিল আইএসআই। পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা এই “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” গঠনের মিশনে সফল হয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

বাংলাদেশ-আইএসআই যোগ!

তবে এই উদ্যোগে একা আইএসআই নেই। বাংলাদেশের সরকারের একাংশের ভেতরের কিছু লোকও আইএসআইকে এই জোট গঠনে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশিরাও যখন এই গোষ্ঠী গঠনে সমর্থন জুগিয়েছে, তখন তার ইঙ্গিতের অভিমুখ যে ভারত, অন্য কোনও অঞ্চল নয়, তা স্পষ্ট। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জোটটা মায়ানমারে ফের এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য হল, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই আরাকান আর্মি একটি জাতিগত গোষ্ঠী। এরাই হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে (ISI)। বাংলাদেশের ডিজিএফআই এবং বিশেষ করে আরএসওকে উল্লেখযোগ্য সহায়তাও দিয়েছে।

লস্কর-ই-তৈবা

আরএসওকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এআরএসএ-র মোকাবিলা করার কৌশল হিসেবে। তবে, আইএসআই এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করায়, এসব গোষ্ঠী তাদের পারস্পরিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসআই নিয়মিতভাবে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Tayiba) এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB) প্রশিক্ষকদের পাঠিয়ে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে (Bharat)। কয়েক বছর আগে যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, তখন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তাদের দলে যোগ দিয়ে লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান। ইউনূস সরকার পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের আইএসআই (ISI) কর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকই বহন করে আসন্ন ঘটনার ইঙ্গিত।

বাংলাদেশ ক্রমেই এগোচ্ছে তালিবানের পথে!

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশ ক্রমেই তালিবানের পথে এগোচ্ছে। এটিও আরও একটি দমনমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের নারীদের দশা হবে আফগানিস্তানের নারীদের মতোই। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের “আমার বাংলা বই” সংস্করণে একটি অধ্যায় ছিল যেখানে ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে গৃহস্থালির কাজ ভাগ করে নেবে বলে লেখা হয়েছিল। ২০২৫ সালের সংস্করণে এই সব কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নারীদের ওপর। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চরমপন্থী ইসলামের উত্থানের কারণে হারতে থাকা এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এখন এটি আর একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সেটা হল রোহিঙ্গা সমস্যা। ইউনূস ও তার অনুগামীদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতকে ধ্বংস করা। এই কারণেই তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইএসআইকে। সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলির বক্তব্য, আগামিদিনে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গেই (ISI) লড়াই করতে হবে না, তাদের মোকাবিলা করতে হবে রোহিঙ্গাদের (Bharat) সঙ্গেও।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share