Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

জলাপাইগুড়িতে নির্বাচনী সভায় আচরণ বিধিভঙ্গ তৃণমূল নেতার....
Jalpaiguri_(1)
Jalpaiguri_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছলে বলে কৌশলে চলছে তৃণমূলের রাজনীতি। রাজনীতি কথাটায় যে নীতি আছে, তার তোয়াক্কা অনেকেই করেন না। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) একটি ঘটনাকে ঘিরে এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটের দুদিন আগে আবাস (PM Awas) যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন মমতার এই দূতেরা। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

ঠিক কী হয়েছিল?

জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। টেবিল-চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবির খুলে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্যোক্তা পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেত্রী পাপিয়া দে। শিবির খোলার আগে এলাকায় প্রচার করা হয় আবাস যোজনার বাড়ি পেতে আগ্রহীরা শিবিরে যোগাযোগ করুন।

রাজনৈতিক তরজা কেন?

এই ঘটনা আদর্শ আচরণ (MCC) বিধি ভঙ্গের শামিল বলে দাবি বিজেপির। ভোটের মুখে এই ধরনের কাজ করা যায় না। যারা শিবিরে আসছে না তাদের বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণ করানো হচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন। বাংলার আবাস যোজনার একটা ফর্ম দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ এবছরের মধ্যেই আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।

তৃণমূলের বক্তব্য

ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া দে সরকার বলেন, “২০১৮ সালে একটি সার্ভে করা হয়েছিল। ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্রের টাকা আটকে থাকায় অনেকে ঘর পাননি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন রাজ্যই এবার থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবে। সেই মতোই স্থানীয়দের মধ্যে যারা ঘর পায়নি তাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দিদি যেমন ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছেন, লোকসভা ভোট মিটে গেলে আবাস যোজনার টাকাও দেবেন। ২০১৮ সালে যাদের তালিকা নাম ছিল, যারা প্রকৃত দরিদ্র সীমার নীচে, তারা ঘর যাতে পায় সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী'র

বিজেপির বক্তব্য

বিজেপির দাবি, তৃণমূল নির্বাচনে বিধি ভেঙে এসব কাজ করছে। স্থানীয় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য নিতাই কর বলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে এসব করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এসব কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার দলের লোকেরা পাড়ায় পাড়ায় এসব করে বেড়াচ্ছে। আসলে তৃণমূল হতাশায় ভুগছে। তারা জানে উত্তরবঙ্গে তারা ভালো ফল করতে পারবে না। তাই এসব করছে ওরা। একাধিক এলাকায় পঞ্চায়েতেও হেরেছে তৃণমূল। ঘর দেবে বলে সাধারণ মানুষকে দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। আর বাড়ি যখন আসবে তখন পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়, স্বজনেরা বাড়ি পাবে। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা বঞ্চিত হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles