মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) অভিযোগ উঠল ভোপালে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করতে আসে এক মুসলিম ব্যক্তি। এরপরেই লাভ জিহাদের অভিযোগে ভোপালের জেলা আদালত চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপরে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ হলেন ওই হিন্দু মহিলার মা। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি নানাভাবে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। এ কথা শোনার পরেই ভোপালের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় ভোপালজুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালত লাভ জিহাদ (Love Jihad) নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দেয়। কোর্ট জানায়, এটি এমন একটি কাজ যেখানে মুসলমান পুরুষরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য টার্গেট করে মিথ্যে বিয়ের নামে ছদ্মবেশে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে।
লাভ জিহাদ, কী বলল আদালত (Love Jihad)
উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালতের মতে, ‘লাভ জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু অরাজকতাবাদী উপাদান দ্বারা ভারতের ওপর আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা। এটি একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ, যা সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। সম্প্রতি এই আদালতই এক মুসলমান যুবককে এক হিন্দু মহিলাকে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ৪২ পাতার একটি নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রবি কুমার দেওয়াকার জানান, লাভ জিহাদের মাধ্যমে অবৈধ ধর্মান্তরণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এবং তিনি ভারত সরকারকে এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, লাভ জিহাদের (Love Jihad) অপরাধটা একটা সিন্ডিকেট দ্বারা চালানো হচ্ছে। যারা অ-মুসলিম, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের মানুষদের মগজ ধোলাই করে নারী ও শিশুদের প্রভাবিত করছে।
উত্তরপ্রদেশের ঘটনা
উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় একটি কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার কোর্স করতে গিয়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় এক হিন্দু তরুণীর। আলম ওই তরুণীকে আনন্দ বলে পরিচয় দেন। এই পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আলম। শারীরিক সম্পর্কের এই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে আলম। অভিযোগ, তারপর থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিওটি দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, গর্ভপাতও করানো হয়। এরপরে হিন্দু ওই তরুণীকে আলম ও তার পরিবার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। এরপরেই মামলা দায়ের হয় আদালতে। তারই পর্যবেক্ষণে বরেলি আদালত এমন মন্তব্য করে।
Leave a Reply