মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী এবং পুলিশের (Army Police) যৌথ অভিযানে ২৮.৫ কেজি ওজনের সাতটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সংক্ষেপে আইইডি (IED) উদ্ধার হল। এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে সেনা। বাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আইইডিগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গত তিন মাসে মণিপুরে (Manipur) এটি ছিল দ্বিতীয় বড় আইইডি উদ্ধারের ঘটনা।
ইম্ফল পূর্ব জেলা থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক (Manipur)
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরকগুলিকে, স্নিফার ডগের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে ইম্ফল পূর্ব জেলার বোংজাং এবং ইথাম গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে ফাঁস সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাকে প্রতিরোধ করে মূল্যবান জীবন এবং সম্পত্তির রক্ষা করা গিয়েছে।’’ এর আগে, গত ২০ জুলাই ইম্ফল পূর্ব জেলার সাইচাং এর পাহাড়ি এলাকায় ৩৩ কেজি আইইডি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছিল সেনা। বাহিনী জানিয়েছে, ‘‘মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সেনার সমন্বয়ের ফলে এই সাফল্য এসেছে। এই যৌথ অভিযানটি এলাকার নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করেছে এবং একই ভাবে দেশবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুনঃ আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ
অনুপ্রবেশের অভিযোগে সতর্ক পুলিশ
আবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়ে থৌবাল জেলার সিনিয়র অফিসারদের কাছে বিশেষ প্রশাসনিক বার্তা এসেছে। তাতে যে কোনও ধরনের হামলা এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মণিপুরে (Manipur) কুকি উপজাতি এবং মেইতিদের মধ্যে ২০২৩ সালের মে থেকে জমির অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ একাধিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। মণিপুরের হিংসায় ইতিমধ্যে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এছাড়া, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বহিরাগত শক্তি অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু প্রশাসন নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা বিষয়ে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours