মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে ফের মিলল সাফল্য। সোমবার, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের কাঁকের জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদীদের (Maoist Guerrilla Killed) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর এক সদস্যের। এ নিয়ে গত মাসের অভিযানে বস্তার ডিভিশনে সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি-সহ মোট ৩৪ জন গেরিলা খতম হল। শনিবারই রাতে কাঁকেরের পাশের জেলা বিজাপুরে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিলেন আট মাওবাদী।
মাও দমনে অভিযান (Maoist Guerrilla Killed)
এদিন উত্তর বস্তার ও মাঢ় ডিভিশনের সীমানায় অবুঝমারের জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান।
পুলিশ কর্তার বক্তব্য
অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য ধারাবাহিক প্রচারও চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে (Maoist Guerrilla Killed) কাজল। ছত্তিশগড় পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কয়েকজন মাওবাদী খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছেন অল্প কয়েকজন। মাওবাদীদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।”
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে ৫০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ৯জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিঃশর্তে শৃঙ্গেরিতে এসপি আমাথের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর চুয়াল্লিশের কোটেহোল্ডা রবীন্দ্র (Chhattisgarh)। তিনি ‘এ’ ক্যাটেগরির নকশাল (Maoist Guerrilla Killed)।
Leave a Reply