মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারেই আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলার সমস্ত নথিপত্র সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিল রাজ্যের গঠিত সিট। উল্লেখ্য, হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছিল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে এই নথি হস্তান্তর করতে হবে। সময় পেরনোর আগেই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিসে গিয়ে সব কিছু তুলে দেয় রাজ্য সরকারের গঠিত সিট।
রাজ্যের উপর আস্থা নেই হাইকোর্টের (RG Kar Case)!
প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছিল আরজি করে (RG Kar Case)। তা নিয়ে গত সোমবার রাজ্য সরকার একটি সিট গঠন করেছিল। এই সিটের নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস প্রণব কুমার। এক সপ্তাহও যেতে পারল না, ঠিক তার মধ্যেই মামলা চলে গেল সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। হাইকোর্টের নির্দেশে, মহিলা চিকিৎসক খুনের তদন্তও এখন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য পুলিশের সিটের উপর আর কোনও আস্থা যে নেই তা আরও একবার প্রমাণিত হল। যদিও আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু এই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা
দুর্নীতিগ্রস্ত সন্দীপ ঘোষ
শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ একক বেঞ্চে বলেন, “একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি আরও জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তভার সিবিআইকেই দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।” ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে ২০২১ সাল থেকে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। মৃতদেহ লোপাট থেকে টেন্ডার বিতরণ, ভর্তিতে দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে আর্থিক লেনদেনে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। সব দুর্নীতির মাথায় যে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষই রয়েছেন, সেই দাবিও করেছে গেরুয়া শিবির।
আরও অভিযোগ ছিল যে, সন্দীপ ঘোষ অসামজিক কাজে প্রত্যক্ষ মদত দিতেন এবং হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আরও বলেন, “প্রথম দিন থেকেই ওঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক সময় ছাত্ররা ওঁর বিরুদ্ধে অনশন আন্দোলন করেছিল। টাকা নিয়ে ছাত্রদের পাশ করানোর কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে আবার টাকা না দিলে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কুচক্রান্ত করতেন। জেলবন্দি করা উচিত।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours