Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

Sandeshkhali_(28)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তো দূরের কথা। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই সন্দেশখালি জুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস হয়। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মেতে ওঠেন সন্দেশখালির মানুষ।

জয় শ্রীরাম বলতে দিত না শিবুরা

সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাত্রপাড়া, বেড়মজুর, কর্ণখালি, পুকুরপাড়া-সব জায়গা থেকেই এই ভাবে বেরিয়ে এসেছে জমা রাগ। কখনও মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে, কখনও ছেলেদের মারধরের বিরুদ্ধে, কখনও আবার ভিটেমাটি দখলের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি দ্বীপের ভিতরে যত যাওয়া যায়, এমনই সব ঘটনা পরতে পরতে খুলে আসে। চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে রাগও। ৮ নম্বর কর্ণখালির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বরাবর জানি, রাম আমাদের আরাধ্য দেবতা। কিন্তু, ত্রিমণি বাজারে গিয়ে আমরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে পারি না। বললে শিবুর (শিবপ্রসাদ হাজরা) লোকজন ধাওয়া দিত।” আমাদের তো ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অধিকার আছে। সেটা এতদিন বলতে পারিনি। পাত্রপাড়ার এক মহিলা বলেন, ওরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না আমাদের ছেলেদের। ধামাখালির খেয়াঘাট দিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে গেরুয়া রং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর এতদিন জয় শ্রীরাম বলতে না পারার জ্বালা মিটিয়েছেন এলাকাবাসী।

সন্দেশখালি জু়ড়ে বাড়়ছে ক্ষোভ

সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ক্ষোভের আগুন বেড়েই চলেছে। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালি জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মহিলারা। তাঁরা সাফ বলেন, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামে অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহজাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share