মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৮ অক্টোবর সিঙ্গুরে (Singur) রতন টাটার ছবি নিয়ে মৌন মিছিল করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাম আমলে সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানা গড়তে চেয়েছিল, কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দলেরনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি অধিগ্রহণ এবং অনিচ্ছুক চাষিদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করে কারখানা নির্মাণ করতে দেননি। বিরোধী শিবিরের দাবি, এর ফলে রাজ্য একটি ভারী শিল্প-কারখানা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সেই মাশুল আজও রাজ্যবাসীকে দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা প্রয়াত হয়েছেন গত ১০ অক্টোবর। এবার তাঁর ছবি নিয়ে রাজ্যে শিল্প-কারখানা তথা কর্মসংস্থান কতটা দরকার, সেই বার্তা দিতেই মিছিল করবেন এই বিজেপি নেতা।
অন্ধকারেই সিঙ্গুর (Singur)!
তখন বাম রাজত্ব মধ্যগগনে। হুগলির সিঙ্গুরে (Singur) ন্যানো কারখানা তৈরি করে বড় শিল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রতন টাটা। কিন্তু এই কারখানার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে প্রবল বিরোধিতা এবং জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হলে ওই কারখানা স্থানান্তর হয় গুজরাটে। যদিও ঠিক পরের বছর ভোটের আগেই গুজরাটে সফল ভাবে ন্যানো উৎপাদন শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের পর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসলে সিঙ্গুরের জমির কোনও গতি লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকী, মমতা ওই জমিতে সর্ষে বীজ বপণ করলেও জমি আজও চাষের যোগ্য হয়ে ওঠেনি। উল্টে গত বছর দেশের শীর্ষ আদালত, টাটা গোষ্ঠীকে বিরাট অঙ্কের সুদ সমেত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। আদালতে টাটারা, মমতার বিরুদ্ধে বিরাট সাফল্য পেয়েছে। এই টাকা এখন দিতে হবে মমতার সরকারকে। এই অবস্থায় সিঙ্গুরবাসীর মনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। না হল চাষ, না হল কারখানা, সিঙ্গুর সেই অন্ধকারে। বিজেপির দাবি অন্ধকারে আলো জ্বালানো হবে।
আরও পড়ুনঃ কোজাগরীতে বৃষ্টি কলকাতায়, লক্ষ্মী পুজোয় কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া?
একটিও নতুন কারখানা গড়তে পারেননি মমতা
এবার এই সিঙ্গুরে (Singur) প্রয়াত টাটা গোষ্ঠীর প্রধান রতন টাটার ছবি নিয়ে মিছিল করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপির দাবি, মমতা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রতন টাটা চেয়েছিলেন বাংলার মানুষের কর্মসংস্থান হোক। তাই রতন টাটাকে স্মরণ করে শিল্প-কারখানার কথাকেই আরও জোর দিয়ে সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এই মৌন মিছিলের উদ্দেশ্য। বিজেপি আরও দাবি করেছে, গত তেরো বছরের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে একটিও নতুন কারখানা গড়তে পারেননি। সর্বত্র তৃণমূলের নেতারা তোলাবাজি করছে। রাজ্যের শিল্প গড়ার অনুকুল পরিবেশ নেই। তাই রাজ্যের মানুষকে অন্য রাজ্যে পরিযায়ী হয়ে কাজ করতে হয়। বিজেপির মতে, এই বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেতে রাজ্যে পরিবর্তন দরকার। তৃণমূল থেকে মুক্তি পেলে তবেই রাজ্যের উন্নতি সম্ভব। এমনটাই বলছে গেরুয়া শিবির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours