Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

Dilip_Ghosh_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share