মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। বুধবার বিকালে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ডাক্তার নির্মল কুমার সাহার সমর্থনে বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজয় সংকল্প সভা ছিল। সেখানেই কান্দি থেকে বিভিন্ন দলের হয়ে শতাধিক কর্মী শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন।
মুর্শিদাবাদ জেলা অনুন্নয়নে এখনও এক নম্বর
বহরমপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বহরমপুরকে শেষ করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোষণের রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনীতি করেন। আর মোদিজির স্লোগান, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস সবকা প্রয়াস। নরেন্দ্র মোদিজি ছিলেন বলে বহরমপুর বাইপাস তৈরি হয়েছে। বহরমপুর উন্নয়নের ছোঁয়া বইয়ে দিয়েছে। অধীরবাবু তো নিজে রেলের হাফ মন্ত্রী ছিলেন, তিনি যে কাজ করতে পারেননি, সেই কাজ অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ আমরা নসিপুর রেল ব্রিজ করে দেখিয়েছি। তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থী নির্মল কুমার সাহাকে লোকসভা ভোটে জয়যুক্ত করে আপনারা দিল্লি পাঠান। কীভাবে কাজ করতে হয় দেখাবো। মুর্শিদাবাদ জেলা অনুন্নয়নে এখনও এক নম্বর। এই জেলার মানুষ মোদিজির পাঠানো শৌচালায় পাননি, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা পাননি। কিন্তু, এই জেলার নওদা তে তৃণমূলের এক প্রধান মোদিজির আবাস যোজনার একা ১৭ টি বাড়ি খেয়েছে। কাবিলপুরের প্রধান একা ৩৫টি বাড়ি হজম করেছে। আর এই রাজ্যে মোদিজি ১০ বছরে সরকারের ৪৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।
পঞ্চায়েতগুলি চুরি-দুর্নীতির আখড়া
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখন তৃণমূল নেতাদের জুতো পালিশ থেকে চণ্ডীপাঠ, বাজার করা থেকে স্কুলে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া যারাই করে তারা বহরমপুরে ক্যাজুয়াল, কন্ট্রাকচুয়াল এর কাজ করেন। এই শহরটাকে ধ্বংস করে নিয়েছে এরা। তাই জোট বাঁধুন, তৈরি হন। এই সরকারের আমলে পঞ্চায়েতগুলি চুরি-দুর্নীতির আখড়া হয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিম ভাইরা আর কতদিন তৃণমূলের হাতের তামাক খাবেন, আপনাদেরকে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেজপাতা বলে মনে করে। তরকারিতে লাগে কিন্তু খাওয়া যাবে না। আপনারা ২১ সালে লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছেন, কী পেয়েছেন? আনিস খানকে আমতায় ধাক্কা মেরে ফেলে মেরেছে। রামপুরহাটের বকটুইয়ে সাত জন মুসলিম মহিলা এবং চারজন বাচ্চাকে মেরেছে মমতার দলের লোকেরা। ডবল ইঞ্জিন আনুন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০০ টাকা করে দেব। সাড়ে চারশ টাকায় গ্যাস দেব এবং যত পরিযায়ী শ্রমিক আছে, সবাইকে মুর্শিদাবাদে ফিরিয়ে কাজ দেব। প্রত্যেক বছর এসএসসি হবে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা পাবেন। এবং রাজ্য সরকারের যত পোস্ট ফাঁকা আছে এক বছরে তাপ পরিপূর্ণ করে দেয়া হবে। শুভেন্দু অধিকারী, আমরা কথা দিলাম। আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার পর দেখবেন যেসব কথা দিয়ে গেলাম সেগুলি বাস্তবে পরিণত করে দেখাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply