মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরেলি হিংসার মূল চক্রী মৌলানা তৌকির রাজা। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত দায়রা আদালত (UP Court) তাঁকে তলব করল ১১ মার্চ। ওই হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন রাজা। ২০১০ সালের ওই হিংসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল বরেলি শহরের।
হিংসার আগুন বরেলিতে (UP Court)
২০১০ সালের ২ মার্চ হিংসার আগুন জ্বলে বরেলিতে। ছাবাইয়ে ফারাওয়াফতের শোভাযাত্রার রুটকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বির্তক হয়েছিল হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে। তার জেরে শুরু হয় হিংসা। দাবানলের মতো যা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোড়া, ভাঙচুর মায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছিল আকছার। মিছিলের আয়োজক ছিলেন (UP Court) সুন্নি মুসলমানেরা। বরেলি সেক্টরের মিলাদ-উন-নবি সংস্কৃতি বহন করেন এই সম্প্রদায়ের মুসলমানরা। প্রথমে যে রুটে যাওয়ার কথা ছিল শোভাযাত্রার, পরে তা বদলে দেওয়া হয়। তার জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। পরে হিংসা শুরু হলে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত নামানো হয় বাহিনী। অবশ্য তার আগেই জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল বহু বাড়ি, দোকানপাট।
গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজাকেও
পরে পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হলে শুরু হয় ধরপাকড়। গ্রেফতার করা হয় মৌলানা তৌকির রাজাকেও। অভিযোগ, জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন তিনি। রাজা গ্রেফতার হতেই শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। পাল্টা হিংসাও শুরু হয়। ফের নামানো হয় বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক হয় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। প্রবীণ পুলিশ সুপার এমকে ভাসারকে বদলি করে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওায়া হয় পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজীব সাভারওয়ালকে। তিনি ছিলেন স্টেট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের ডিআইজি। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আশিস কুমারকেও। তাঁর বদলে জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অনিল গর্গকে।
আরও পড়ুুন: আফগানিস্তানে গ্রেফতার আরও এক, কেন কেরলের যুবকদের মধ্যে বাড়ছে আইসিস-প্রীতি?
এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা বলেন, “আমরা যদি হিংসার ঘটনাপ্রবাহের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব হিংসার পক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। হিংসার ধরণ দেখলেও বোঝা যায়, দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একবারও প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় জড়িয়ে পড়েনি। ২ মার্চও মানুষ পাথর ছুড়ছিল। তার পরেই সংগঠিত একদল লোক বাড়িঘর-দোকানদানিতে আগুন লাগাচ্ছিল, ভাঙচুর করছিল। হিংসার দ্বিতীয় পর্যায়েও যুক্ত ছিলেন না দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। ছিল সংগঠিত দু’দল জনতা। আর ছিল প্রশাসন (UP Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours