Maldives Islands: চিনের দাদাগিরি রুখতে মলদ্বীপের কাছে সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে দিল্লি

Indian Armed Forces: লাক্ষাদ্বীপের মালিকু দ্বীপে নতুন সেনা ঘাঁটি গড়ে তুলেছে ভারত
Untitled_design(724)
Untitled_design(724)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও চিনের সীমান্ত রয়েছে প্রায় চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে। পৃথিবীর প্রথম দুই জনবহুল দেশের সংঘাত তবে বর্তমানে আর মাত্র চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা জুড়েই সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে তা মহাসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও (Maldives Islands) ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের দখল নিজেদের কাছেই রাখতে চায় বেজিং। চিনের দাদাগিরি রুখতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দিল্লিও। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সামরিক কার্যকলাপও (Indian Armed Forces) বৃদ্ধি করেছে ভারত।

লাক্ষাদ্বীপের মালিকু দ্বীপে নতুন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে মোদি সরকার 

লাক্ষাদ্বীপের মালিকু দ্বীপে নতুন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে মোদি সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, মালিকু দ্বীপের এই সামরিক ঘাঁটিগুলিতে (Indian Armed Forces) নতুন দুটি বিমান ঘাঁটি করা হবে আবার অন্যদিকে আগাত্তি দ্বীপের বর্তমানে যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেটিকেও ঢেলে সাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কূটনৈতিকভাবে এই দুটি দ্বীপের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুটি দ্বীপই আরব সাগরে অবস্থিত এবং বিশ্বের যে প্রধান সামুদ্রিক বাণিজ্যপথ রয়েছে তার অর্ধেক রাস্তাই এই অঞ্চলে অবস্থিত। অর্থাৎ বিশ্বের সামুদ্রিক বাণিজ্য পথে চিনের দাপট রুখতে ভারতের এমন কূটনৈতিক পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

বিমান ঘাঁটিগুলি বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা হবে

ভারত সরকারের তরফ জানানো হয়েছে, এই বিমান ঘাঁটিগুলি বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই বেজিং উদ্যোগ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অর্থাৎ যে কোনও মূল্যে এই অঞ্চলগুলিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় চিন। ঠিক এই কারণেই আফ্রিকা মহাদেশের ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে চিনা কোম্পানিগুলির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নজরে পড়ে। ওই দেশগুলির সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনের সেনা যৌথ মহড়াও করে। সামরিক চুক্তিও সম্পাদন করছে বেজিং। সামরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বেজিং ওই দেশগুলির সঙ্গে।

ভারতকে রুখতে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, সাধারণভাবে সারা বিশ্বজুড়ে দুটি দেশের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে তা মেটানোর কাজ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমেত ইউরোপের দেশগুলি। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধেও তা দেখা গিয়েছে, ঠিক একইভাবে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলির এই জায়গাটি নিতে চাইছে চিন। এক্ষেত্রে ভারতই হয়ে উঠছে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। ভারতকে রুখতে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সকলেরই জানা। আর্থিক দিক থেকে, সামরিকভাবে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করে চলেছে বেজিং। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিকাঠামোও নির্মাণ করেছে বেজিং। খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে, এশিয়া মহাদেশে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিন ভারতকেই ভাবে।

চিন ঘনিষ্ঠ মলদ্বীপের (Maldives Islands) ওপরেও কড়া নজর রাখতে চায় ভারত

গত বছরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু তাঁদের দেশ থেকে ভারতের সেনা সরানোর কথা বলেন। শুধু তাই নয় নির্বাচনে জেতার আগে এটাই ছিল মুইজ্জুর প্রতিশ্রুতি যে তিনি ক্ষমতায় ফিরলে দেশ থেকে ভারতের সেনা সরানো হবে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এমন সিদ্ধান্ত মুইজ্জুর নয়, এর পিছনে রয়েছে বেজিংয়ের কূটনৈতিক কৌশল। তবে মলদ্বীপের (Maldives Islands) খুব কাছেই ভারতের সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি বেশ চোখে পড়ছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও বাড়াতে গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে নৌ-ঘাঁটি চালু করেছে ভারত। লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জের এই নৌ-ঘাঁটির (নেভাল স্টেশন) নাম রাখা হয়েছে ‘আইএনএস জটায়ু’। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের অনুমান চিন ঘনিষ্ঠ মলদ্বীপে কড়া নজর রাখতে চায় ভারত। তাই লাক্ষাদ্বীপে বেড়েই চলেছে ভারতের সামরিক কার্যকলাপ।

চলতি বছরেই মলদ্বীপে (Maldives Islands) এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ

চিন-মলদ্বীপ আঁতাঁতের কারণে জলসীমার এই অঞ্চলে নিরন্তর নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। চলতি বছরেই মলদ্বীপে এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ফলে, সামগ্রিক দিক দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতে এই সামরিক ঘাঁটিগুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘাঁটিগুলি থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যাবতীয় বাণিজ্যিক ও সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখা সহজ হবে। আর লাক্ষাদ্বীপের অবস্থান মলদ্বীপের (Maldives Islands) ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে হওয়ায় ওই রাষ্ট্রের গতিবিধির ওপরও নজর রাখবে ভারত।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles