মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে মেতেছে গোটা বাংলা। বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আজ হালখাতার জন্য লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজোও চলছে। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রভাত ফেরীর অনুষ্ঠান। এই আবহে বঙ্গবাসীকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘পয়লা বৈশাখের (Shubho Nabo Barsho) শুভেচ্ছা। আশা করি এ বছর আপনাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সাফল্য, সুখ সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। শুভ নববর্ষ।’’
পয়লা বৈশাখ কীভাবে পালিত হয়?
এই দিনে বাঙালি সমাজের মানুষ সব কাজ থেকে অবসর নিয়ে নতুন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে। এর পাশাপাশি মন্দিরে অনেক সাজসজ্জার পাশাপাশি নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করেন তারা। এই দিনে গরুর পুজো করারও বিধান আছে। গরুকে তিলক, ভোগ এবং পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিন ব্যবসার হিসাব দেখেন ব্যবসায়ীরা (Shubho Nabo Barsho)। বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হওয়া এই উৎসবে খড় পোড়ানোরও ঐতিহ্য দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। মনে করা হয়, খড় জ্বালিয়ে গত বছর যে কষ্ট পেয়েছিলেন তা থেকে মুক্তি মেলে।
ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায় (Shubho Nabo Barsho)
বাঙালিরা আজ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। চলে নানা অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি এদিন ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায়। এই দিনে অনেক বাঙালি বাড়িতে পান্তা ভাত তৈরি করে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ এবং ভাজা ইলিশ মাছ সহযোগে খাওয়া-দাওয়া চলে। এছাড়াও এই দিনে অনেক ধরনের মিষ্টিও তৈরি করা হয়। বাংলা জুড়ে বর্ষবরণের (Shubho Nabo Barsho) উৎসব উপলক্ষ্যে দিকে দিকে সাজো সাজো রব। নতুন বছরে প্রিয়জন, গুরুজনদের নতুন বছরের প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারেও।
Leave a Reply