PM Modi: দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! কী কী বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা?

pm modi will visit saudi arab for 2 days focus on many sectors

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে আগামী ২২-২৩ এপ্রিল সেখানে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার সৌদিতে যাচ্ছেন মোদি। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থির ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হবে।

দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, সৌদির যুবরাজ তথা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সে দেশে যাচ্ছেন মোদি (PM Modi)। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়েই ভারত এবং সৌদি আরবের কৌশলগত অংশীদারি পরিষদ (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল)-এর প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করেছে। রতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, “সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

কী কী বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা

সৌদি আরবের ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি, ইজরায়েল-হামাস সংঘাত এবং ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ একাধিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করবেন দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে চলেছে সবুজ হাইড্রোজেন (Green Hydrogen) খাতে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, “জ্বালানি সহযোগিতায় কৌশলগত মাত্রা যোগ করার চেষ্টা করা হবে।” সৌদি যুবরাজের ভারত সফরের সময় ঘোষিত ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের টাস্ক ফোর্স অন ইনভেস্টমেন্ট (HLTFI) গঠন করা হয়েছে, যার প্রথম বৈঠক হয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। আলোচনায় থাকবে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (IMEEC)-এর ভবিষ্যত পরিকল্পনাও। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সামরিক মহড়া এবং উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও রূপরেখা তৈরি হতে পারে। প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ প্রকল্প, অস্ত্র ক্রয়ের সুযোগ এবং প্রশিক্ষণসহ আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share