Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

India now exports toys to 153 countries says piyush goyal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের সাফল্যের মুকুটে ফের একটা নয়া পালক! বিপ্লব ঘটেছে ভারতের (India) খেলনা শিল্পে। আমদানি নির্ভরতা থেকে বিশ্বমানের রফতানিকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে ভারতীয় খেলনা। এটা কোনও গল্পকথা নয়। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৬তম টয় ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বি-টু-বি এক্সপোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

ভারতের খেলনা শিল্প (Piyush Goyal)

তিনি বলেন, “আমাদের খেলনা শিল্প, যা এক সময় আমদানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল, এখন ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এটি গর্বের বিষয় এবং সঠিক নীতিগত সহায়তা পেলে আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।” এই সাফল্যের নেপথ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণগুলি হল গুণমানের মানদণ্ডে নিরবচ্ছিন্ন জোর, দেশীয় উৎপাদন কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার চালু হওয়া। পীযূষ বলেন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার ভারতে গুণমান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেছে। এখন আমাদের নির্মাতারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করছেন।”

কী বললেন মন্ত্রী

তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার।১৪০ কোটির জনসংখ্যা আমাদের একটি বিরাট বাজার দেয়, যার মাধ্যমে আমরা উৎপাদন স্কেল বাড়াতে পারি, খরচ কমাতে পারি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে পারি।” খেলনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে মন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, এই গতি বজায় রাখতে এবং পণ্যের নকশা, ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিন। আমরা যদি এই তিনটি স্তম্ভ মজবুত করি, তাহলে ভারতীয় খেলনা বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।” মন্ত্রী বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযান শুরু করেছিলেন, তখন অনেকে এর প্রভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু আজ আত্মনির্ভর ভারতের (India) দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে ‘লোকাল গ্লোবাল হতে পারে’ এই বিশ্বাস বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।” তিনি (Piyush Goyal) বলেন, “সৃজনশীল খেলনার ধারণা নিয়ে আসা স্টার্টআপগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে, যার জেরে এখন ২০ বছরের জন্য জামানতহীন ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share