মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!” শুক্রবার ভোটমুখী বিহারের গয়ায় আয়োজিত এক জনসভায় (Jailed Ministers) এমনই মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।
১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (PM Modi)
প্রসঙ্গত, লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের ওই জনসভা থেকে তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কর্মচারীদের দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন জেলে থাকলে মন্ত্রিত্ব খোয়া যাবে না?” জেল থেকে সরকার চালানোর সাম্প্রতিক নজিরও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কারও নাম নেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু দিন আগে আমরা দেখেছি, কীভাবে জেলে বসে ফাইলে সই করা হচ্ছিল। সরকারের নির্দেশিকা কীভাবে জেল থেকে জারি করা হচ্ছিল। নেতারাই যদি এমন আচরণ করেন, তবে আমরা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব?” তিনি বলেন, “এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন এনেছে। এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তা তিনি গাড়ির চালক হোন, কেরানি হোন কিংবা পিয়ন। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!”
প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কারা
প্রসঙ্গত, আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা না দিয়ে জেলে বসেই সরকার পরিচালনা করেছিলেন তিনি। মাস ছয়েক পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান কেজরিওয়াল। তারপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দায়িত্ব তুলে দেন অতীশীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই ঘটনারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আগেও দেখেছি, কীভাবে জেল থেকে বসে সরকার চালানো হয়। একের পর এক ফাইলে সই করা হয়। নেতারাই যদি এরকম হন, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানো অসম্ভব।” তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির নৈতিক হওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই আমাদের সরকার এমন একটি আইন আনতে চলেছে, যার নজরদারিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন।”
উল্লেখ্য, (PM Modi) বুধবার সংসদে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ আরও দু’টি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও গুরুতর অপরাধে যদি কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত (Jailed Ministers), তাহলে ঠিক ৩১ দিনের মাথায় পদ থেকে সরে যেতে হবে ওই মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)।
Leave a Reply