Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আবারও গণপিটুনির ঘটনা, রাজবাড়ীতে হিন্দু যুবক অমৃত মণ্ডল নিহত

bangladesh crisis again attack on hindu youth amrit mandal lynched to death by islamists

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ফের হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন করা হল। এবার ঘটনাস্থল রাজবাড়ি। মৃত যুবকের নাম অমৃত মণ্ডল। তিনি এলাকায় সম্রাট নামেও পরিচিত ছিলেন। বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ পাংশা উপজেলার হোসেনডাঙ্গা পুরাতন বাজার এলাকায় ২৯ বছরের ওই যুবককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। কয়েকদিন আগেই ময়মনসিংহের ভালুকায় ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকেও খুন করেছিল মৌলবাদীরা। সেই রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এই ঘটনা সামনে এল।

বাংলাদেশে হিন্দু নিধন চলছেই

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অমৃত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছিল, যার জেরে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগের সত্যতা এখনো নিশ্চিত হয়নি এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী, অমৃত মণ্ডল স্থানীয় একটি গ্রুপের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যা ‘সম্রাট বাহিনী’ নামে পরিচিত ছিল। তিনি রাজবাড়ী জেলার হোসেনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা অক্ষয় মণ্ডলের ছেলে। প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার সবথেকে বেশি বেড়েছে। শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পরই সেখানে কার্যত হিন্দু নিধন শুরু হয়। বহু সংখ্যালঘুর বাড়িতে অত্য়াচার করে মৌলবাদীরা, লুটপাট চালায়। মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনাও সামনে এসেছিল। সম্প্রতি পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে খুন করেছিল উগ্রপন্থীরা। সেই ঘটনার ফের পুনরাবৃত্তি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে এবং ঘটনার পূর্ণ বিবরণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় এখনও কোনও গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় গণপিটুনির ঘটনা। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি কারখানায় কর্মরত দীপু চন্দ্র দাসকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে মারধর করা হয়, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর তার মরদেহের সঙ্গে অবমাননাকর আচরণের অভিযোগ ওঠে, যা দেশজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দেয়। পরপর দুটি ঘটনায় দেশে গণপিটুনি ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত বিচার ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানানো হচ্ছে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share