মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানাও করেন (Population Survey) তিনি। অশ্বিনী সাফ জানিয়ে দেন, আলাদা করে দেশে জাতি শুমারির প্রয়োজন নেই। জনগণনার সঙ্গেই হবে জাতিভিত্তিক গণনা।
আদমশুমারি (Caste Census)
প্রতি ১০ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে জনগণনা হয়নি ২০২১ সালে। তার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। বুধবার, এপ্রিল মাসের একেবারে শেষ দিনে সরাসরি জাতিশুমারির কথা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।
জাতিভিত্তিক জনশুমারি
বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। এদিন জাতিভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটে থাকা অন্যান্য দলকেও নিশানা করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বরাবর জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ক্যাবিনেটের উচিত জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারির সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক (Caste Census) সমীক্ষা করেছিল।” অশ্বিনী বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের এবং উপজাতির নাগরিক ১.৭ শতাংশ।
চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই বিহারই প্রথম জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল (Population Survey)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কেন্দ্রের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ (Caste Census)।
Leave a Reply