মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই (CBI Raids) হানা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ভোটপরবর্তী মামলায় তদন্তে এই হানা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মারিশদা থানা এলাকায় এই তল্লাশি করা হয়। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনারাও ছিলেন। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। আগামী ২৫ মে এই কেন্দ্রে লোকসভার ভোট। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযানের জল কোথায় গড়ায় তাই এখন দেখার।
সিবিআই সূত্রে খবর (CBI Raids)
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৫টা নাগাদ কাঁথি থেকে ১৪ কিমি দূরে মারিশদা থানা এলাকায় ভাজাচাউলির সিজুয়া গ্রামে পৌঁছে সিবিআই (CBI Raids) তল্লাশি শুরু করে। তদন্তকারী অফিসারদের একটি দল তৃণমূলনেতা দেবব্রত পাণ্ডার বাড়িতে যায়। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর মেয়েকে অনেক সময় ধরে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। অপর আরেকটি দল ইছাঘেরা গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান বুদ্ধদেব মাইতির বাড়িতে হানা দেয়। তবে সেখানেও বুদ্ধদেবকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে বুদ্ধদেবকে না পেলেও বাবা নন্দদুলাল মাইতি, স্ত্রী সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের ভোটের কার্ড, আধার কার্ড নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের বক্তব্য
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে এই খুনের মামলায় ৩০ জন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই (CBI Raids)। কিন্তু অনেক তৃণমূল নেতা হাজিরা দেয়নি। অপর দিকে তৃণমূল নেতা নন্দুলাল বলেন, “সকালে আমার বাড়িতে বড় বাহিনী নিয়ে ঢুকে পড়ে সিবিআই। আমার স্ত্রী, মেয়ে, বৌমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে। আমি আগেও ওদের জানিয়েছি, আমার ছেলে বাইরে থাকে। আমরা কেউ এই ঘটনায় অভিযুক্ত নই। আমাদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।”
আরও পড়ুনঃ “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের
কী ঘটেছিল?
২০২১ সালের ৩০ মার্চ বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণের আগে কাঁথি-৩ ব্লকে জনমেজয় দুলই নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। মারিশদা থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। মৃত এই বিজেপি কর্মীর ছেলে হাইকোর্টে অভিযোগ করে সিবিআই (CBI Raids) তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এরপর এই তদন্ত শুরু হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours