মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০০ কোটি টাকা ঋণ পেতে গিয়ে ঘুষ (Videocon Bribe Case) দিতে হয়েছিল ৬৪ কোটি টাকা! এই মামলায় আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি তথা সিইও ছন্দা কোচরকে (Chanda Kochhar) দোষী সাব্যস্ত করল আপিল ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের এই ঋণ ছন্দা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দিয়েছিল ভিডিওকন সংস্থাকে। ওই টাকা আবার ভিডিওকন পাঠিয়ে দেয় ছন্দার স্বামী দীপক কোচরের সংস্থাকে। এই মামলায় ইডির তরফে ছন্দার যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই সিদ্ধান্তকে বৈধ বলেও জানিয়ে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ঋণ বাবদ ভিডিওকনকে ৩০০ কোটি টাকা (Chanda Kochhar)
২০০৯ সালের ২৭ অগাস্ট আইসিআইসিআই ব্যাংকের তরফে ঋণ বাবদ ভিডিওকনকে মঞ্জুর করা হয় ৩০০ কোটি টাকা। অভিযোগ, এর ঠিক পরের দিনই ভিডিওকনের তরফে ৬৪ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দীপকের সংস্থা নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলসকে। ট্রাইব্যুনালের তরফে এই ঘটনাকে ঋণের বদলে ঘুষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় ছন্দাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনালের তরফে জানানো হয়, ঋণ মঞ্জুরের নামে যে ঘুষ নেওয়া হয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই অপরাধের যাবতীয় তথ্য-প্রমাণও হাতে এসেছে।
কী বলল ট্রাইব্যুনাল?
ট্রাইব্যুনালের তরফে জানানো হয়েছে, ছন্দা ঋণ মঞ্জুর করার সময় ভিডিওকনের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রকাশ করেননি। এতে ব্যাংকের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়েছে। ছন্দা একথা বলতে পারেন না যে তিনি তাঁর স্বামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কোচর দম্পতির ৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেই সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ছন্দা (Chanda Kochhar) ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল আর এক (Videocon Bribe Case) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁদের গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে জানিয়ে ছন্দাদের জামিন দিয়েছিল বোম্বে হাইকোর্ট। এবার ঋণ সংক্রান্ত ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন ছন্দা (Chanda Kochhar)।
Leave a Reply