মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনা (Covid 19 in Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গোটা দেশের নিরিখে দ্বিতীয়। কোভিড সংক্রমণ এড়াতে বয়স্ক ও শিশুদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি
জুনের প্রথম দিনেই ফের লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ (Covid 19 in Bengal)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪ জন। একদিনে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় এই মুহূর্তে ৩৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। ২৬ মে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ জন। শেষ সাত দিনে এক ধাক্কায় ২৬ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
সোমবার দেশে করোনা (Covid 19 in Bengal) রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁতে চলেছে। ২ জুন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬০। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত আরও ২০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২০৩ জন। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩২। স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে দিল্লিতে। সেখানে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। তার মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এর ফলে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। অন্যদিকে, শুধু দিল্লিতে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৪৮৩।
কেরলে অবস্থা খারাপ
করোনা (Covid 19 in Bengal) রোগীর সংখ্যার নিরিখে শোচনীয় কেরলের অবস্থা। সেখানে ১৪৩৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪৮৩ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পর করোনা রোগীর সংখ্যা দিল্লিতে ৪৮৩, বাংলায় ৩৩৮ এবং গুজরাটে ৩৩৮ জন। ৩১ মে পর্যন্ত দেশে কোভিডের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন। ২২ মে দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫৭। ২৬ মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০ জন। সেই সংখ্যায় ৩১ মে পর্যন্ত বেড়ে ৩ হাজার ৩৯৫-এ পৌঁছল। তার আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহ প্রায় ১২০০ শতাংশ বেড়েছে। কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৩, তামিলনাডুতে ১৮৯, উত্তরপ্রদেশে ১৫৭।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ
করোনার (Covid 19 in Bengal) নতুন ঢেউয়ের মাঝেই, ভারতে খোঁজ মিলেছে এই সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টের। শনিবার এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭-এর চার ধরনের ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে । ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ সাবভেরিয়েন্টগুলিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে নয়। কিন্তু চিন এবং এশিয়ার নানা জায়গায় এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে ইতিমধ্যে।
সাম্প্রতিক কোভিডের লক্ষণ
চিকিৎসকরা বলছেন, এখন কোভিড ১৯ (Covid 19 in Bengal)সংক্রমিত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের মধ্যে ক্রমাগত কাশি , গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমির মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে কারও কারও কনজাংটিভাইটিসও হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগই বাড়িতেই ওষুধ-পত্র ও বিশ্রামে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে যাঁদের অন্তর্নিহিত কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে কোভিডের লক্ষণগুলি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
চিকিৎসকদের কথায়, এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে সতর্ক থাকা উচিত। তাই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি কেবল ভাইরাস (Covid 19) থেকে রক্ষা করে না বরং চারপাশের মানুষকেও নিরাপদ রাখে। বয়স্ক এবং শিশুদের এখনই মাস্ক ব্যবহার শুরু করা দরকার। বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়া, হাত ধুয়ে খাওয়া, ইত্যাদি অভ্যাসগুলি ছাড়লে চলবে না। সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যেখানেই যান না কেন, রেস্তোরাঁ হোক বা বাজার-দোকান, ভিড় থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। এটি একটি ছোট অভ্যাস যা আপনাকে বড় সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। যদি কারো কাশি, সর্দি, জ্বরের মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে তার বাড়িতে থাকা উচিত এবং বিশ্রাম নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
Leave a Reply