মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (Green Energy in India) খাতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে ভারত। ০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে চলেছে দেশ। ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’র ক্ষেত্রে ২০৩০-এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত “পাঞ্চজন্য ইনফ্রা কনক্লেভ ২০২৫”-এ ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে দেশ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Pralhad Joshi) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কখনও নিজের বা মন্ত্রিসভার জন্য সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করেন না। তিনি সব সময় এমন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য স্থির করেন যা আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করে।” মন্ত্রী যোশী আরও বলেন, “নবীকরণযোগ্য জ্বালানি খাতেও প্রধানমন্ত্রী একটি অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্য পূরণের অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছি।”
ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন -এর মূল উদ্দেশ্য
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চালু হওয়া ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন (NGHM)’-এর মূল উদ্দেশ্য ভারতের জ্বালানি ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করা এবং দেশকে বিশ্বব্যাপী সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করা। এর জন্য ₹১৯,৭৪৪ কোটির বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্মিত। এগুলি হল নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো, চাহিদা তৈরি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা। মন্ত্রী যোশী (Pralhad Joshi) জানান, ইতিমধ্যেই কাণ্ডলা, পারাদীপ ও তুতিকোরিন বন্দরে বিশেষ হাইড্রোজেন হাব গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ভারতের সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) রফতানির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, এনটিপিসি, রিলায়েন্স, আইওসিএল-এর মতো বড় সংস্থার পাশাপাশি বহু স্টার্ট-আপ এবং এমএসএমই (MSME) সবুজ হাইড্রোজেন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে, যার ফলে গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী ভ্যালু চেইন। তৈরি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান।
প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই ভারতে সবুজ-বিপ্লব
ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Energy in India) মিশন-এর লক্ষ্য হল বার্ষিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন, ১২৫ গিগাওয়াট নতুন নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা, ৮ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ৬ লক্ষ নতুন চাকরি, প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গম কমানো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi) জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ফুয়েল বেসড বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ২০৩০-এর মধ্যে ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’ থেকে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জলবায়ু নিয়ে ভারত তার লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। সবুজ ও পরিষ্কার পরিবেশ তৈরির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই হবে ভারতের সবুজ-বিপ্লব। ভবিষ্যৎ হবে স্বনির্ভর।
Leave a Reply