মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর বাংলাদেশ এবং মেঘালয়ে এক গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rains) শুরু হয়েছে। এই ভারী বৃষ্টির ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঁচ রাজ্য অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘণ্টায় এই ভয়ঙ্কর বন্যাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অসমে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে বন্যার কারণে। যার মধ্যে ৫ জন মারা গিয়েছেন গুয়াহাটিতে। অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশের দুটি পৃথক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা কবলিত (Devastating Floods) রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বলেছেন অমিত শাহ।
ভয়ঙ্কর বন্যা (Heavy Rains)
অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশেও বন্যার কারণে ভূমিধসে নয় জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আবার উত্তরপূর্ব ভারতের অপর রাজ্য মেঘালয় ভূমি ধস, বজ্রপাত এবং বন্যার জলে ডুবে সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মিজোরাময় একটি হোটেল ধসে পড়ে। এই ঘটনায় মোট ছয় জন মারা গিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে তিনজন মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। নাগাল্যান্ডে জাতীয় সড়কে ভূমিধস ঘটেছে এবং সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটি এবং তেজপুরে বিগত মে মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। মণিপুরের প্রতিটি নদী বিপদ সীমার (Devastating Floods) উপরে বইছে বলে জানিয়েছে সরকার।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের
জানা গিয়েছে, সিকিমের একটি সেনা ঘাঁটিতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে (Heavy Rains) । ৬ জন সেনা সদস্য এখনও নিখোঁজ। উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে বৃষ্টিপাতের ফলে এই ভয়ঙ্কর বন্যার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা, অসম রাইফেলস ও মণিপুর ফায়ার সার্ভিস বন্যা অধ্যুষিত জেলাগুলিতে অভিযান শুরু করেছে। বিগত তিন দিনে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নিজের সমাজ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন যে নরেন্দ্র মোদি সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের সঙ্গে পাথরের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
Leave a Reply