Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ধর্মের ওপর আঘাত অব্যাহত, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

Hindus under attack roundup week

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কর্নাটকের বেলাগাভি জেলার রামদুর্গা তালুকে এক মহিলাকে জোর করে ইসলাম ধর্মী দীক্ষিত করতে চাপাচাপি করা হয়। বছর আঠাশের ওই মহিলাকে স্থানীয় এক মুসলমান লাগাতার হয়রান করত, দিত হুমকিও। নিজের ধর্ম বাঁচাতে নাগাভ্বা দেমাপ্পা ভান্তামুরি নামের ওই মহিলা আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। বেঙ্গালুরুতে আবারও একটি উদ্বেগজনক ‘লাভ জিহাদ’ সংক্রান্ত ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক হিন্দু মহিলা উসমান নামের এক ইসলামপন্থী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চরম শারীরিক নির্যাতন, জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরের চেষ্টা, ব্ল্যাকমেল, আর্থিক শোষণ এবং নির্মম হত্যার হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। রকসৌল সীমান্তে সম্প্রতি এক ১৬ বছর বয়সি হিন্দু কিশোরীকে উদ্ধার (Roundup Week) করার হয়েছে। অভিযোগ, তাকে প্রলোভন দেখিয়ে শোষণ করা হয়েছিল এবং ধর্মান্তরের দিকে ঠেলে দিয়ে বোরখা পরিয়ে নেপালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পূর্ব চম্পারণের স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, সশস্ত্র সীমা বল (SSB)-এর মানব পাচার বিরোধী ইউনিট রাকসৌল সীমান্তের কাস্টমস অফিসের কাছে নেপালে প্রবেশের চেষ্টার সময় এক ব্যক্তি, বোরখা  পরা ১৬ বছরের এক কিশোরী ও এক নাবালককে আটক করে। ওই ব্যক্তি পশ্চিম চম্পারণের বাসিন্দা মহম্মদ আজমুল্লাহ আলি। মেয়েটি বেত্তিয়া থেকে নিখোঁজ হয়েছিল (Hindus Under Attack)।

মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগ

উত্তরপ্রদেশের মইনপুরী জেলায় কর্মরত এক বিবাহিত মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগ, এক মুসলিম ব্যক্তি তাঁকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, স্বামীকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করেছে, টাকা আদায় করেছে। পুনেতে তাঁকে আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। পুলিশ মহারাষ্ট্র থেকে ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত গুলফাম ওরফে আরকান আহমদকে গ্রেফতার করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসরাখ থানা এলাকার এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন যে, সারাই নজর খান, তার বোন গুড়িয়া এবং তার ভগ্নিপতি রাজু খানের সঙ্গে মিলিতভাবে একটি সংগঠিত চক্র পরিচালনা করত। তাঁর অভিযোগ, এরা এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ইসলামপন্থী যুবক নিজেদের পরিচয় গোপন করে হিন্দু নারীদের প্রলোভিত করত, মিথ্যা সম্পর্ক গড়ে তুলত এবং পরে অশ্লীল ভিডিও ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে তাদের শোষণ করত (Hindus Under Attack)।

বজরং দলের শোভাযাত্রায় পাথর

উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের জ্বালাপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যখন শৌর্য দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বজরং দলের একটি শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। জ্বালাপুর, হরিদ্বার শহর ও কাঁখাল—এই তিন জায়গা থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি রাম চকের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। দুর্গা চক ও সাইনি আশ্রমের কাছে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ক্ষুব্ধ বজরং দলের কর্মীরা বুলডোজার নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন (Roundup Week)। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থিরুপারঙ্কুন্দ্রাম কার্তিগাই দীপম ইস্যুতে বিচারপতি জি আর স্বামীনাথনের ওপর আক্রমণটি শুধু একটি প্রদীপকে কেন্দ্র করে বিরোধ নয়; বরং এটি হিন্দু অধিকার, মন্দিরের ঐতিহ্য ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর একটি সমন্বিত রাজনৈতিক আক্রমণ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই আক্রমণের নেতৃত্বে রয়েছে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এবং ইন্ডি জোটের সাংসদদের সমর্থন।

নেহরুকে নিয়ে বিস্ময়কর মন্তব্য রাজনাথের

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে নিয়ে এক বিস্ময়কর মন্তব্য করে বড় রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেহরু সংক্রান্ত বক্তব্য তথ্যভিত্তিক বলে দাবি করা হয়েছে। নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, জওহরলাল নেহরু বাবরি মসজিদের জন্য সরকারি অর্থ ব্যয়ের পক্ষে ছিলেন (Roundup Week)। মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলায় পুলিশ ছজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তারা একটি খ্রিস্টান ধর্মান্তরণ চক্র চালাচ্ছিল। এই চক্রটি দরিদ্র বনবাসী পরিবারগুলিকে লক্ষ্য করে প্রতি ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরণে প্রলুব্ধ করছিল (Hindus Under Attack)। সুরথকল পুলিশের তরফে ইসলামপন্থী দোকান মালিককে এক নাবালককে যৌন হেনস্তার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইসমাইল। তিনি সুরথকলের চক্কাবেত্তু জুম্মা মসজিদের কাছের হানি ফ্যাশন শপ অ্যান্ড জেনারেল স্টোরের মালিক।

কিশোরীকে আঘাত ব্লেড দিয়ে

মির্জাপুরের গণেশগঞ্জ এলাকায় ১৭ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করা হয় গলা ও কবজিতে। গুরুতর অবস্থায় রয়েছে সে। অভিযোগ, এক ইসলামপন্থী যুবক তাকে ধর্মান্তরণ ও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। অস্বীকার করায় হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে। ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত আবদুল ওরফে সইফ সম্পর্কে তথ্য দিলে ২৫,০০০ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র ও তাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে নজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Hindus Under Attack)।  ‘প্রজা প্রভুত্ব উলিসি আন্দোলন’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন কর্ণাটকের কুদ্রমুখ জাতীয় উদ্যান অঞ্চলে বসবাসকারী দুর্বল জনজাতী পরিবারগুলিকে লক্ষ্য করে চালানো কথিত মিশনারি ধর্মান্তরণ কার্যকলাপ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে (Roundup Week)।

খবরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ-কানাডা

এদিকে, পাকিস্তানের কুখ্যাত ইসলামপন্থী সংগঠন পীর সারহিন্দি মিথ্যে অভিযোগ তুলে পাকিস্তানি হিন্দু অধিকারকর্মী শিবা কাচ্ছিকে ইসলামবিরোধী ও পাকিস্তানি রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা ‘ভারতীয় এজেন্ট’ আখ্যা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবাশিবা এক্স হ্যান্ডেলে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

বাংলাদেশের রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় এক প্রবীণ হিন্দু দম্পতির গলাকাটা দেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এঁদের মধ্য একজন মুক্তিযোদ্ধা, বছর পঁচাত্তরের যোগেশচন্দ্র রায় এবং তাঁর স্ত্রীর সুবর্ণা। বিশ্বের ছবিটাও খুব একটা কম ভয়ঙ্কর নয়। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ব্র্যাম্পটনে একটি মন্দিরে থ্যাংকসগিভিং সপ্তাহে প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে ভক্তরা হতবাক হয়ে যান, দাবি করেন উপাসনালয়গুলির নিরাপত্তা জোরদারের করারও।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share