মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার মেক্সিকো (Mexico Tariff Hike)। ভারতীয় পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করল এই দেশটি। এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হবে আগামী বছর থেকে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত (India) জানিয়েছে, এই একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা লাতিন আমেরিকার এই দেশটির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমাধান খুঁজে বের করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে নিজেদের রফতানিকারীদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকারের কথাও জানান। সংবাদ সংস্থায় উদ্ধৃত এক সরকারি কর্তা বলেন, “গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা জারি রেখেই ভারত তার রফতানিকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করছে।”
বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ম (Mexico Tariff Hike)
ওই আধিকারিক আরও জানান, এ সংক্রান্ত একটি বিল প্রাথমিকভাবে উত্থাপিত হওয়ার সময়ই মেক্সিকোর সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্য নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমাধান খুঁজে বের করতে ভারতের বাণিজ্য দফতর মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।” বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল এবং মেক্সিকোর অর্থনীতি বিষয়ক উপমন্ত্রী লুইস রোসেন্দোর মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকগুলি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (Mexico Tariff Hike) ।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি
মেক্সিকো ভারত, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া-সহ যেসব দেশের সঙ্গে তাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেই সব দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবাদ এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির আপত্তি সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (India)। ইতিমধ্যেই নিম্নকক্ষে পাস হওয়া এই বিলটি মেক্সিকোর সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানির ওপর বেশি কর আরোপের বিধান দিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, বস্ত্র, পোশাক, প্লাস্টিক এবং ইস্পাতের মতো নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে (Mexico Tariff Hike)।
শুল্কের হার সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ
অন্যান্য অধিকাংশ আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কের হার সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে। সেনেটে এই প্রস্তাবের পক্ষে ৭৬টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে পড়ে ৫টি। ভোটদানে বিরত ছিলেন ৩৫ জন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের পেছনে মূলত দুটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো–কানাডা চুক্তি (USMCA) পর্যালোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য প্রদর্শন করা এবং দ্বিতীয়ত, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা। মেক্সিকো অবশ্য আশা করছে, এই শুল্ক (India) পরিবর্তনের ফলে আগামী বছরে প্রায় ৩.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আসবে, যা দেশটির রাজস্ব ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে (Mexico Tariff Hike)।

Leave a Reply