মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় চড়চড়িয়ে উঠছে অর্থনীতির পারা। বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও ভারতের পণ্য ও পরিষেবা রফতানি (Export) ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লক্ষ কোটি টাকায়। অন্তত এমনই অনুমান রফতানিকারীদের শীর্ষ সংস্থার (FIEO)। বিশ্ববাণিজ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও, ভারতের অগ্রগতি অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে বলে অনুমান।
এফআইইওর বক্তব্য
রফতানিকারীদের শীর্ষ সংস্থা ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের (FIEO) সভাপতি এসসি রালহান বলেন, “আমরা বর্তমান অর্থবর্ষ শেষে প্রায় ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকা রফতানি টার্গেট করছি, যেখানে পণ্য রফতানি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২৫-৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরিষেবা রফতানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৪৬৫-৪৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।
ভারতের মোট রফতানি (FIEO)
২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারতের মোট রফতানি পৌঁছেছে ৭০,৪২,৫৪৮ কোটি টাকায়। তার আগের বছর এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪,৭৬,৮৮৬ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে বৃদ্ধির হার ৬.০১। এই বৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ছিল পরিষেবা রফতানি, যা ১৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকায়। এর নেপথ্যে রয়েছে আইটি, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ভ্রমণ সংক্রান্ত পরিষেবার শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ভূমিকা। পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার। পেট্রোলিয়াম ছাড়া অন্যান্য পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৩০,৬৭২ কোটি টাকার। গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ বেশি।
এফআইইওর মতে, উদীয়মান বাজারে সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কাঁচামালের (FIEO) পরিবর্তে ভ্যালু-অ্যাডেড পণ্যের দিকে বেশি করে মনোযোগ দিলে রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে এবং বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের ওঠানামা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি কমবে। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) বাস্তবায়ন করলে বিদেশি বাজারে প্রবেশ অনায়াস হবে এবং বাণিজ্য বাধা কমবে। উন্নত পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ, পরিবহণ (Export) খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা — এই সব উদ্যোগ ভারতের রফতানির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান উন্নত করবে (FIEO)।
Leave a Reply