মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে এশিয়া মহাদেশেরই দেশ জাপান (Japan)। সেই জাপান সরকারই আগামী ১০ বছরে ভারতের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করছে। টোকিও থেকে প্রকাশিত দ্য আসাহি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনেই মিলেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২৯ অগাস্ট টোকিওয় বৈঠকের সময় এই নয়া লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করবেন। এই পরিকল্পনা জাপানের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রাকে আরও প্রসারিত করবে। ২০২২ সালের মার্চে ভারত সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
তিন দিনের জন্য জাপান সফরে মোদি (Japan)
দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তাতে এই নয়া বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার কথা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ অগাস্ট থেকে তিন দিনের জন্য জাপান সফরে যাবেন। এটি হবে ২০২৩ সালের মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর তাঁর প্রথম জাপান সফর। জাপানি ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে গড়ে প্রতি অর্থবর্ষে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) ভারতে বিনিয়োগ করেছে। সরকার নয়া লক্ষ্যমাত্রা আপডেট করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনাও করছে। এটি হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো, যা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে – যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
অগ্রাধিকার যেসব ক্ষেত্রে
এই উদ্যোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল খাতগুলিতে, যেমন, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা উদ্যোগ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ২.০ নামে একটি প্রকল্পও চালু করা হবে, যা উৎপাদনশীলতার বাইরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে উদীয়মান প্রযুক্তি খাত, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্টার্টআপকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে (Japan)।
জানা গিয়েছে, জাপান ও ভারত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে ‘এনার্জি ডায়ালগ’ নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হল দুই দেশের সহযোগিতা মজবুত করা, যাতে একইসঙ্গে ডিকার্বনাইজেশন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা যায়। দুই দেশই যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করতে পারে। এটি (PM Modi) একটি দ্বিপাক্ষিক কাঠামো, যার মাধ্যমে জাপান ও ভারতের মধ্যে তার গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্জিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৃতিত্বকে নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারবে (Japan)।
Leave a Reply