Nagpur Clash: ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলন, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত নাগপুর

Nagpur Clash Erupts Amid Aurangzeb Tomb Row Fadnavis Appeals For Calm

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur Clash)। প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে আন্দোলন। সেই মতো দুই সংগঠনের কর্মীরা ঔরঙ্গজেবের প্রতীকী কবর দাহ করে। এতেই গুজব ছড়ায় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো হয়েছে। সম্মুখ সমরে নেমে পড়ে দুই গোষ্ঠী। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Debendra Fadnavis) বলেন, ‘‘নাগপুর (Nagpur Clash) শান্তির শহর, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক নিজেদের মধ্যে সুখ দুঃখ ভাগ করে বেঁচে থাকে। এটাই নাগপুরের ঐতিহ্য। কোনও গুজবে কেউ কান দেবেন না।’’ উত্তেজনার এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি নাগরিকদের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নাগপুর শহর বরাবরই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতীক। কেউ যেন গুজবে কান না দেয় এবং আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়।’’

সোমবার সকালে হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিক্ষোভ

গতকাল সোমবার সকালে নাগপুরের (Nagpur Clash) মহল নামের এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের কর্মীরা ঔরঙ্গজেবের প্রতীকী কবর দাহ করে। সংগঠনের দাবি, ঔরঙ্গজেব ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বিরোধী ছিলেন, তাই তাঁর কবরের প্রতীক পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তারপরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা নামতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং সংঘর্ষ বেধে যায়।

কড়া ব্যবস্থা নেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ (Nagpur Clash)

সংঘর্ষ চলাকালীন প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। জানা গিয়েছে, নাগপুর পুলিশের পক্ষ থেকে সংঘর্ষে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষের পরেই প্রশাসন নাগপুরের স্পর্শকাতর এলাকায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) মোতায়েন করেছে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পুলিশের কঠোর নজরদারিতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share