মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।
আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)
ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।
ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির
অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।
Leave a Reply